মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশিকা অনুযায়ী বুধবার আদানি ইস্যুতে এস বি আই -এর সদর দফতরে বিক্ষোভ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদদের। এদিন সকালে তৃণমূলের লোকসভা এবং রাজ্যসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও ’ব্রায়েন দলের সাংসদদের সঙ্গে নিয়ে দিল্লির সংসদ ভবনের এসবিআই-এর সদর দফতরে বিক্ষোভ দেখাতে পৌঁছন। তৃণমূল সাংসদরা পৌঁছনোর আগেই সেখানে দিল্লি পুলিশ উপস্থিত। এরপর সেখানে তৃণমূল সাংসদরা পৌঁছলে তাঁদের বিক্ষোভ দেখাতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পাশাপাশি তৃণমূলের মহিলা সাংসদদের হেনস্থার অভিযোগ ওঠে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে। কিন্তু নিজেদের অবস্থানেই অনড় থাকেন তৃণমূল সাংসদরা। শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভের কথা জানালেও প্রথমে তাঁদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। কিন্তু পরে আদানি ইস্যুতে মুখে কালো কাপড় বেঁধে, হাতে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সাংসদরা (Trinamool Congress)।
এদিন বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মহুয়া মৈত্র ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তাঁদের একাধিক অনুরোধ সত্ত্বেও দিল্লি পুলিশ তাঁদের কোনও কথা শোনেনি বলেও অভিযোগ। উল্টে তাঁদের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ ওঠে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দিল্লির এলআইসির সদর দফতরে বিক্ষোভ দেখানোর পর বুধবার সকালে এসবিআই-এর সদর দফতরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শন কর্মসূচী ছিল তৃণমূলের। অবিলম্বে এসবিআই, সেবি কর্তাকে গ্রেফতার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের নীরবতা ইস্যুতে সরব হন তৃণমূলের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা।