কেরল: ঋতুমতী হলে মিলবে ছুটি? পিরিয়ডের জন্যও ছুটি পাবেন ছাত্রীরা! নজিরবিহীন নিয়ম আনছে রাজ্য সরকার। ঋতুস্রাবের সময় মেয়েদের বিভিন্নকরম শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অনেকেরই পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হয়। কখনও কখনও রক্তক্ষরণ এতটাই বেশি হয় যে সেভাবে কোনও কাজকর্মই করা যায় না। সেখানে যাতায়াত, ক্লাস করা অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক। তাই ছাত্রীদের শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেরালা সরকার।
সম্প্রতি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, উচ্চশিক্ষা বিভাগের অধীনে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ঋতুস্রাবের সময়ে মাসিক ছুটি কার্যকর করার বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে। রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম চালু হলে ছাত্রীদের জন্য তা অত্যন্ত সহায়ক হবে। কোচিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স এবং টেকনোলজি(CUSAT) বিভাগের পক্ষ থেকে এই নিয়মটি কেরালার সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের চালু করা প্রস্তাব আসে৷ প্রথমে এসএফআই এবং সিইউএসএটির ইউনিয়ন ছাত্রীদের অনুরোধের ভিত্তিতেই ছুটির আবেদন করে৷ পরে সেই ছুটি মঞ্জুরও হয়৷ তাই এখন গোটা কেরালা রাজ্য জুড়েই ঋতুস্রাবের সময় ছাত্রীদের ছুটি দেওয়ার ভাবনা চলছে৷
এর আগে ঋতুকালীন ছুটির দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস ইউনিয়ন আবেদন জমা করেছিল। সেই আর্জির বিবেচনা করেই ছুটির দাবি মঞ্জুর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই পদক্ষেপে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার ছাত্রী উপকৃত হবেন। বিশ্বজুড়ে বহু কর্পোরেট সংস্থাতেই মহিলাদের ‘পিরিয়ড লিভ’ দেওয়া হয়। তবে স্কুল-কলেজের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেই নজির কম। আগামিদিনে CUSAT-এর থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলিও ঋতুকালীন ছুটির বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষায় বসার জন্য ছাত্রছাত্রীদের ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি থাকা বাধ্যতামূলক। তবে ঋতুস্রাবকালীন ছুটির নিয়ম চালু হলে ছাত্রীরা ৭৩ শতাংশ উপস্থিতি থাকলেই পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন। পরীক্ষার নিয়মে এই বদল নিয়ে এসেছে CUSAT। পিরিয়ড লিভের জন্য আলাদা করে কোনও মেডিকেল সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র একটি ছুটির আবেদনপত্র জমা দিলেই যথেষ্ট।এমনকি যেসব ছাত্রীরা PhD করছেন তাঁরাও এই সুবিধা পাবেন৷ CUSATতে এই নিয়মটি পদ্ধতিগতভাবে অনুমোদনের জন্য একাডেমিক কাউন্সিলের কাছে জমা দেওয়া হয়েছিল এবং এখন এটি অনুমোদিত এবং বাস্তবায়িত হয়েছে।