নিজস্ব প্রতিবেদন: শ্রদ্ধা ওয়াকারের নৃশংস খুনের বিভীষিকায় স্তম্ভিত গোটা দেশ। লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন করে তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ফেলার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে। এই বীভৎস ঘটনার মতই আরও এক হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্যে এল। শ্রদ্ধাকে খুনের কায়দাতেই প্রিন্স যাদব নামে এক যুবক প্রাক্তন প্রেমিকাকে খুন করে ৬ টুকরো করে দেহ ফেলে দিয়েছিল কুয়োয়। ঘটনাটি যোগী রাজ্যের। রবিবার উত্তর প্রদেশের আজমগড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে। অভিযুক্তের কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল, কার্তুজ ও একটি ধারাল অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গত ১৫ নভেম্বর আজমগড়ের পশ্চিমী গ্রামের একটি কুয়োয় এক যুবতীর খণ্ড-বিখণ্ড দেহ ভাসতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে ওই দেহ দেখতে পান, সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ অর্ধনগ্ন অবস্থায় এক যুবতীর দেহের ছয় টুকরো উদ্ধার করে। এরপরই শুরু হয় তদন্ত। পাশেরই একটি কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হয় কাটা মাথা। মৃত ওই যুবতীকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। মৃতার নাম আরাধনা। দেহটি দুই-তিনদিনের পুরনো হওয়ায়, ইতিমধ্যেই পচন ধরে গিয়েছিল। তদন্তে প্রিন্স যাদব নামক এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত প্রিন্সকে গ্রেপ্তার করা হলেও, সর্বেশ, প্রমিলা যাদব, সুমন, রাজারাম, কলাবতী, মঞ্জু ও শীলা যাদব পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে।
এদিকে, জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছে, সম্পর্ক ছিন্ন করে অন্য এক ব্যক্তিকে বিয়ে করার কারণেই সে পরিবারের সাহায্য নিয়ে প্রাক্তন প্রেমিকাকে খুন করে এবং দেহ ছয় টুকরো করে কুয়ো ও পুকুরে ফেলে দেয়। প্রিন্স আরও জানায়, নিহত যুবতীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু চলতি বছরের শুরুতেই তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়, অন্য এক ব্যক্তিকে বিয়ে করে নেয় আরাধনা। সেই সময় থেকেই মনে রাগ পুষে রেখেছিল প্রিন্স।
সম্প্রতিই আরাধনার সঙ্গে ফের যোগাযোগ হয়। ইশাকপুর গ্রামের বাসিন্দা আরাধনাকে দেখা করতে বলে প্রিন্স। গত ৯ নভেম্বর বাইকে করে আরাধনাকে একটি মন্দিরে নিয়ে যায়। সেখানেই প্রিন্সের খুড়তুতো ভাই সর্বেশ অপেক্ষা করছিল। দুইজনে মিলে আরাধনাকে পাশের একটি আখের ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে গলা টিপে খুন করে। এরপরে দুইজনের মিলে যুবতীর দেহ ৬ টুকরো করে। কালো পলিথিন ব্যাগে ভরে সেই দেহ পশ্চিমী গ্রামের একটি কুয়োয় ফেলে দেয়। কাটা মাথাটি ফেলে দেয় পাশের একটি পুকুরে।