মুম্বই: প্রশ্ন উঠছে, কেন মুখ্যমন্ত্রীত্ব গ্রহণ করলেন না ফড়ণবীশ। এতেও স্পষ্ট রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১৯ সালে যখন বিজেপি এবং শিবসেনা জোট লড়ে জিতেছিল। যদিও পরে তা ভেঙে যায়। এরপর থেকে দুই দলের দূরত্ব বাড়তে থাকে। একাধিকবার বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন উদ্ধব ঠাকরে। এমনকী বিজেপি, তাঁকে ছোট করেছে বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন উদ্ধব। বালাসাহেবের সহানুভূতিকে কাজে লাগিয়েই ক্ষমতায় বসেছে। ঠাকরে পুত্র উদ্ধব। যদিও আড়াই বছরের বেশি তা টিকল না। একনাথ সোজাসুজি শিবসেনা ভাঙিয়ে সরকার গড়লেন। যদিও বিরোধীরা একে বাহুবলী ছবির পিঠে ছুড়ি মারার সঙ্গে তুলনা করেছেন। কিন্তু ওয়াকিবহাল মহলের মত অন্য। তাদের কথায়, একের পর এক বিধায়ককে নিজের দিকে টানা নজির গড়েছে মহারাষ্ট্র তথা দেশের রাজনীতিতে। আড়াই বছর পর হলেও ক্ষমতা সেই বিজেপির হাতেই গেল। বালাসাহেবের নাম ভাঙিয়ে বিজেপির হিন্দুত্ববাদকেই অস্ত্র করল একনাথরা। যদিও উদ্ধনের প্রতি রাগ বিন্দুমাত্র নেই বলেই শোনা গিয়েছে বিদ্রোহীদের মুখে। সব দোষ সঞ্জয় রাউতকেই দিয়েছেন তাঁরা। তবে বিজেপিকে এভাবে সূঁচ হয়ে ঢোকায় সাহায্য করার জন্যেই শিন্ডেকে এত বড় পদ ছাড়তে বিন্দুমাত্র ভাবেনি মোদী-শাহের শিবির। ২০২৪ সালে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে জনগণের রায় বালাসাহেবের কোন মতাদর্শের পক্ষে যায়, তার দিকে চোখ গোটা দেশের।