নিজস্ব প্রতিবেদন: বিয়ে বাড়িতে অন্য মহিলার সঙ্গে নাচ করছিলেন স্বামী। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। রাগের বশে দুই বছরের সন্তানকে গলা টিপে খুন করে আত্মঘাতী হলেন গৃহবধূ। জানা যাচ্ছে, দাম্পত্য কলহের কারণেই আত্মহত্যা করেন ওই মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের কানপুরে।
জানা গিয়েছে, কানপুরে রাওয়াতপুরে স্বামী, সন্তান ও শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে থাকতেন সীমা নামক ওই যুবতী। ২০১৯ সালে তাঁর বিয়ে হয়েছিল বিশাল নামক এক যুবকের সঙ্গে। তাদের একটি দুই বছরের ছেলেও ছিল। জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি বিয়েবাড়িতে স্বামীকে এক নর্তকীর সঙ্গে নাচতে দেখেন ওই যুবতী। মঞ্চ থেকে টেনে নামান স্বামীকে। বিয়েবাড়িতেই ঝামেলা শুরু হয়ে যায় দুইজনের মধ্যে। এরপরই বাড়ি এসে খিল এঁটেছিলেন ঘরের দরজায়। বারবার ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়েই ভাঙতে হয় দরজা। দেখা যায়, সিলিং থেকে ঝুলছে বধূর দেহ। খাটে পড়ে রয়েছে দুই বছরের ছেলের নিথর দেহ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে সীমার বাবার কাছে ফোন আসে। বলা হয়, নিজের সন্তানকে খুন করে আত্মহত্যা করেছে সীমা। খবর পেয়েই মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছান তাঁরা। মৃতার বাবা জামাই ও তাঁর মা-বাবার বিরুদ্ধেই বধূ নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই সীমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত।
অন্যদিকে, কয়েকজন আত্মীয় জানিয়েছেন যে দীর্ঘদিন ধরেই সীমা ও বিশালের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল। সম্প্রতিই তারা এক আত্মীয়ের বিয়েতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁর স্বামী এক নর্তকীর সঙ্গে নাচ করছিলেন ঘনিষ্ঠ অবস্থায়। এই দৃশ্য দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সীমা। বিশালকে টেনে মঞ্চ থেকে নামানো হয়। সেখানেই তাদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এরপর বাড়িতে ফিরেও আরেক দফা বচসা হয়। এরপরই ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। পুলিশের তরফে দুই পরিবারের বয়ানেই বেশ কিছু অসঙ্গতি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। আপাতত ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে ওই দুটি দেহ। তদন্তের পরই আসল ঘটনা সামনে আসবে বলা জানিয়েছে পুলিশ।