মেক্সিকো সিটি: মেক্সিকোর জেলে বন্দুকবাজের হামলা! মৃত ১৪। এর মধ্যে ১০ জন নিরাপত্তারক্ষী এবং ৪ জন বন্দি রয়েছে। এদিকে হামলার সুযোগে পালিয়ে গিয়েছে ২৪ জন বন্দি। রবিবার টেক্সাস সীমান্ত লাগোয়া মেক্সিকোর কারাগারে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। তারপর থেকেই এলাকার নিরাপত্তা কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে। এই মুহূর্তে পুলিশ ও মেক্সিকোর সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
টেক্সাসের এল পাসো সীমান্তের কাছেই মেক্সিকোর সিউদাদ জুয়ারেজ এলাকা। সেখানকার কারাগার বরাবরই অত্যন্ত স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত। এর আগে বহুবার এই একই কারাগারে সংঘর্ষ, হামলার ঘটনা ঘটেছে। নতুন বছরের প্রথম দিনেই সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। চিহুয়াহুয়া প্রশাসন সূত্রে খবর, রবিবার সকালের দিকে একটি অস্ত্রবোঝাই গাড়ি গেটের সামনে এসে দাঁড়ায়। এরপর সেখান থেকে ক্রমাগত গুলিবর্ষণ করতে থাকে বন্দুকবাজ। তাতে ১০ জন নিরাপত্তারক্ষী ও চার বন্দির মৃত্যু হয়। জখম হন বেশ কয়েকজন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এভাবে বন্দুকবাজের হামলার ঘটনায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মেক্সিকো প্রশাসনের। জেল থেকে ওই বন্দিদের ছাড়াতেই কি এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল? সাঁজোয়া গাড়ি কোথা থেকে পেলেন বন্দুকবাজরা? ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে জেলেরই নিরাপত্তারক্ষীদের হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিএয়ছে মেক্সিকো প্রশাসন। পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে জেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে জেলের সিসিটিভি ফুটেজ। কোন কোন বন্দি পালিয়ে গিয়েছে? কখন, কবে এবং কি কারণে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল? পলাতক বন্দিদের মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে মেক্সিকো পুলিশ।
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, রবিবার কারাগারে হামলার আগে সেখানকার পুলিশের উপর হামলার চেষ্টা চলে। একটি এসইউভি গাড়ি চড়ে এসেছিল হামলাকারীরা। কিন্তু পুলিশ তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলায় সেই ছক বানচাল হয়ে যায়। এরপরই তারা জেলের সামনে হামলা চালায়। তাতেই এতজনের মৃত্যু হল। কারাগারে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি।