ঢাকা: শুধুই এদেশ নয়, পড়শি দেশেও অশান্তি। অভিশাপের খাঁড়ায় জর্জরিত বাংলাদেশ। মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টির জেরে তৈরি বন্যা পরিস্থিতিতে মৃত্যু ৪০ জনের (সরকারি হিসেব অনুযায়ী)। ৯০ লক্ষ মানুষ ভিটেমাটি ছাড়া। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকার্যে নেমে পড়েছে উদ্ধারকারী দল। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের এই দুর্দিনের কথা তাঁর কাছে দুঃস্বপ্ন। তাঁর বক্তব্য, ‘অনেক বিপর্যয় দেখেছি। এই পরিস্থিতি হবে ভাবতে পারিনি। প্রশাসনের প্রত্যেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। উদ্ধারকারী দল সক্রিয়। ড্রোনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে দ্রুত পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা।’










ভাসছে উত্তর-পূর্ব ভারতের একাংশ। বিপর্যয় মোকাবিলা ও ত্রাণ বিষয়ক মন্ত্রী এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ‘মেঘালয় ও অসমের প্রবল বৃষ্টিতে বাংলাদেশে বন্যা দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সিলেট ও সুনামগঞ্জের। সিলেটে রেল যোগাযোগ স্তব্ধ। বন্ধ বিমান ওঠানামাও। বিগত ১২২ বছরে এই পরিস্থিতি কখনও দেখেনি বাসিন্দারা। বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়েও মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে সিলেটে। অন্তত ৩ লক্ষ মানুষ ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। কমপক্ষে ১৬ লক্ষ শিশু আটকে বন্যা কবলিত অঞ্চলে। একাধিক হাসপাতাল জলের তলায়। যার জেরে ব্যাহত চিকিৎসা পরিষেবাও। বাংলাদেশ জল উন্নয়ন্য দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিপদসীমার ১.৪৩ সেন্টিমিটার উপরে রয়েছে নদীর জল। স্বাস্থ্য, জনজীবন, অর্থনীতি- সব দিক থেকেই বিপর্যস্ত বাংলাদেশ।