নিজস্ব সংবাদদাতা : ঘটনাটি যে সময়ের, তখন ব্রিটেনে সব রকম ঘরোয়া জমায়েতে দু’জনের বেশি মানুষের উপস্থিতির উপরে কড়া নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘আইটিভি নিউজ়’-এর বিস্ফোরক দাবি, ১৯ জুন দুপুর ২টো নাগাদ ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে কেক এবং স্যান্ডউইচ সহযোগে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের জন্মদিন উদ্যাপনে শামিল হয়েছিলেন কমপক্ষে ৩০ জন! বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন ডাউনিং স্ট্রিটের একাধিক আধিকারিকও। এর জেরেই প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ভাবমূর্তি বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে।
অতিমারির বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে একের পর এক পার্টির আয়োজন এবং তাতে সশরীরে যোগ দেওয়ায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অনেকেই ভালো মনে নেননি। ডাউনিং স্ট্রিটের পার্টির আয়োজন নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত করছেন প্রবীণ আমলা সু গ্রে। তাই এই বিতর্ক নিয়ে এখনই চর্চা না করে সু-র তদন্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করার অনুরোধ জানিয়েছেন পরিবহণ সচিব।
এই প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আর বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না।’’ এই জন্মদিনের পার্টির খবরটি এখন জনসমক্ষে এলেও সু-র কাছে তা আগেই পৌঁছে গিয়েছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি। এ সপ্তাহের শেষের দিকে তিনি চূড়ান্ত তদন্ত রিপোর্ট পেশ করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। জন্মদিনের অনুষ্ঠানের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে ফের বরিসের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কিয়ের স্ট্রারমের। তাঁর মন্তব্য, ‘‘প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের মন অস্থির করে তুলছেন এবং তাঁকে সরতেই হবে।’’
তবে বরিসের পাশেও দাঁড়িয়েছেন দলের সতীর্থদের কেউ কেউ। যেমন, ব্রিটেনের সংস্কৃতি সচিব নাডিন ডোরিসের মন্তব্য, ‘‘সারা দিন এক সঙ্গে কাজের পরে যদি সতীর্থের জন্মদিন পালনের জন্য একটি কেক কিনে এনে গান গেয়ে মিনিট দশেক উদ্যাপন করা হয় এবং তার পরে আবার সবাই কাজে ফিরে যায়, সেটাকে কি আজকাল পার্টি বলে?’’