নিজস্ব সংবাদদাতা : নিউ ইয়র্কের ভাইরোলজিস্টদের নয়া রিপোর্ট আরও চিন্তার উদ্রেক করল । যাতে বলা হচ্ছে, নিকাশি নালার জলেও বাড়ছে করোনা ভাইরাস। নিকাশি জলে করোনার অস্তিত্ব এর আগে ভারত, নেদারল্যান্ডস এবং ইটালিতে মিলেছিল। মিসৌরি, টেক্সাস ও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্টরা সেই ২০২০ সালেই নিউ ইয়র্কের নিকাশি জলের নমুনা সংগ্রহ করে কাজ শুরু করেন।২০২১ সাল থেকে নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কাজ শুরু হয়।
তারপরই তাঁরা জানতে পারেন, কোনও ডেল্টা বা ওমিক্রন নয়, সম্পূর্ণ ভিন্নগোত্রের করোনা নিউ ইয়র্কের নিকাশি জলে ছিল। এ নিয়ে আরও গবেষণার দরকার বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। গত বছর হায়দরাবাদে এবং তেলেঙ্গানায় সংক্রমণ বাড়ছে দেখে সেখানকার নর্দমা এবং শহরের নিকাশি নালা থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা করে হায়দরাবাদের সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল টেকনোলজি।
এই দুই সংস্থার যৌথ উদ্যোগে সংঘটিত গবেষণায় হায়দরাবাদের ১০ টি সিউয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।সেখানে গবেষকদের মতে, নিকাশি থেকে সংগৃহীত সার্স-কোভ-টু’র আরএনএ সংক্রামক নয়। তাই হায়দরাবাদে ভয়ের কিছু ছিল না। কিন্তু নিউ ইয়র্কের মতো শহরের নিকাশি জলে মিউটেশনের পর এমন একটি করোনার প্রজাতির প্রমাণ মিলেছে যা মানবশরীরে এখনও পাওয়া যায়নি।
সমস্যা সেখানেই শুরু হয়েছে। গত দু’বছরে সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ হয়েছে আমেরিকায়। এমনকী মৃত্যুর সংখ্যাটাও বেশি আমেরিকাতেই। আপাতত শৈত্যপ্রবাহে পূর্ব উপকূলের প্রদেশগুলো কাঁপছে। বরফে ঢেকেছে গোটা এলাকা। তারই মধ্যে নিউ ইয়র্কের ভাইরোলজিস্টদের নয়া রিপোর্ট বেশ খানিকটা চিন্তা বাড়িয়ে দিল।