বেজিংঃ এশিয়া-র ক্ষমতা দখলের জন্য রণসজ্জায় সেজে উঠছে চীন। কখনও তাইওয়ানকে ঘিরে যুদ্ধ মহড়া, কখনও নিজেদের সীমান্তে সৈন্যবল বৃদ্ধি। তা ছাড়াও চলছে মিসাইল পরীক্ষা। এইভাবে নিজেদের ক্ষমতা বজায় রাখছে চীন। তবে প্রকৃতির কাছে কি এই সব চলে?
প্রকৃতির রোষের কবলে পড়ল লাল ফৌজের দেশ। দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল কেঁপে উঠল বীভৎস ভূমিকম্পে। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ৬.৬। এখনও পর্যন্ত অন্তত ৪৬ জনের প্রাণহানির খবর সামনে এসেছে। ক্ষতিগ্রস্থ বহু বাড়ি। মার্কিন ভূতত্ত্ববিদের সমীক্ষা অনুযায়ী, সোমবার সিচুয়ান প্রদেশের কাংডিংয়ে ভয়ংকর ভূমিকম্প অনুভূত হয়। কম্পনস্থল ছিল মাটির ১০ কিমি গভীরে। এর জেরে দীর্ঘ ৪৩ কিমি বিস্তৃত এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত।

উল্লেখ্য, বর্তমানেও চেংডু অঞ্চলে কড়া কোভিডবিধি জারি কড়া আছে। লকডাউনের ফলে মানুষ ঘরবন্দি। তার মধ্যে তীব্র কম্পন, কেঁপে ওঠে বহুতল বিল্ডিংগুলিও, ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে কম্পনের জেরে একাধিক এলাকায় ধস নামার ফুটেজও। যান চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।সুত্রের খবর, কমপক্ষে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ও ক্ষতিগ্রস্থ অন্তত ১০ হাজার মানুষ। ভূমিকম্প আফ্টারশকেও বেড়েছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। জানা গিয়েছে, মূল ভূমিকম্পের ঘণ্টাখানেক পরই তিব্বতে কম্পন অনুভূত হয়। যার মাত্রা ছিল ৪.৩।

উদ্ধার কাজে নেমেছে সেনা, জোর কদমে চলছে কাজ। আহতদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ক্ষতিগ্রস্থ বিল্ডিংগুলি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে, তৈরি হচ্ছে অস্থায়ী তাঁবু, স্থানান্তরের জন্য কাজ শুরু হয়েছে। সরকারের তরফে পাঠানো হচ্ছে খাবার, কম্বল ইত্যাদি। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে এই সিচুয়ানের ওয়েনচুয়ানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ৮ হাজার মানুষ। সেবার কম্পনের মাত্রা ছিল ৮। সোমবার এই এলাকায় যেন সেই বিভীষিকাময় স্মৃতিরই পুনরাবৃত্তি ঘটল।