গিলগিট : ভয়ঙ্কর অর্থসংকটে পড়েছে পাকিস্তান। গম-সহ খাদ্যদ্রব্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। রোজদিনের খাবার জোটাতে নাভিশ্বাস উঠছে সে দেশের মানুষের। শস্যের অভাবে মূল্যবৃদ্ধির সমস্যায় জর্জরিত পাকিস্তান। এরই মাঝে সে দেশে প্রতিবাদের ঝড়! কাতারে কাতারে মানুষ রাস্তায় নেমেছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মধ্যে পড়ে গিলগিট বাল্টিস্তান। ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার দাবি জানাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। পাক-বিরোধী সেই বিক্ষোভেই ভারতের লাদাখের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার দাবি জানিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। এমনকি কার্গিলের রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে সেখানে।
জানাগিয়েছে, বিগত ১২ দিন ধরে পাক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে বাল্টিস্তান। গম-সহ একাধিক খাদ্যশস্যের উপর ভর্তুকির দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। এর পাশাপাশি জমি দখল এবং লোডশেড়িং এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। পাকিস্তানের সেনা অবৈধ ভাবে ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গা দখল করছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। পাক সেনা ও সরকারের বিরুদ্ধেই সরব বিক্ষোভকারীরা।
গিলগিট বাল্টিস্তানের জমি দখল নিয়ে সমস্যা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। সেই দেশের নিয়ম অনুসারে, ওই এলাকার বাসিন্দাদের হাতে থাকা জমি পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডের বাসিন্দারা কিনতে পারবেন না। সেই নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগও রয়েছে পাক সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু পাক অধিকৃক কাশ্মীরে এই বিক্ষোভ নিশ্চিতভাবে খুশি করবে ভারতকে। সঙ্কট কাটাতে অর্থনৈতিক সাহায্য চেয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সৌদি আরবের শাসক সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
গত বছর অক্টোবরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছিলেন, ভারতের উত্তর অংশের উন্নয়ন গিলগিট এবং বাল্টিস্তান এসে স্তব্ধ হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি ভারত যে ওই অংশের উপর নজর রাখছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে তা স্পষ্ট। এই পার্বত্য এলাকায় রয়েছে প্রচুর হিমবাহ। পাকিস্তানের দখলে থাকা এই এলাকায় ভারতে অন্তর্ভুক্ত হলে উপত্যকায় অনেক সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবে ভারত। সেখান থেকেই এবার উঠলো ভারতকে যুক্ত করার দাবি।
বস্তুত, এই অবস্থায় পাকিস্তানকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে বেশ কিছু সংস্থা। প্রায় ৯০০ কোটি ডলারের সাহায্য করেছে বিভিন্ন সংস্থা।