নিজস্ব প্রতিবেদন: নতুন বছরে আরও তীব্র যুদ্ধের ঝাঁজ। ইউক্রেনের আকাশ ঢাকা পড়েছে যুদ্ধের কালো মেঘে। বাতাস জুড়ে বারুদের গন্ধ। ক্রমাগত বেজে চলেছে সাইরেন। অনবরত গোলাগুলির শব্দ। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের ১০ মাস পরেও যুদ্ধে মেতে উঠছে এই দুই দেশ। এবার বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে ইউক্রেনীয় সেনা। ডোনেৎস্ক অঞ্চলে রুশ ঘাঁটি লক্ষ্য করে মিসাইল আক্রমণ করে ইউক্রেন। মৃত্যু হয় ৮৯ জন রুশ সেনার।
মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, পূর্ব ইউক্রেনে রুশ সেনার অস্থায়ী ক্যাম্পে চারটি মিসাইল ছুঁড়েছে ইউক্রেন। মৃত্যু হয়েছে ৮৯ সেনার। অন্যদিকে, এই ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরেই রাশিয়ার অন্দরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন ভ্লাদিমির পুতিন। তারপরেই উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু করে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। পেশ করা হয় তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, মিসাইল হামলার সাফল্যের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল রুশ সেনার মোবাইল ব্যবহার। নিয়ম ভেঙে সেনার একটা বড় অংশ নিয়মিত মোবাইল ব্যবহার করেছে বলেই আক্রমণ চালাতে সুবিধা হয়েছে ইউক্রেনের। জানা গিয়েছে, মিসাইল ছোঁড়ার আগে সৈনিকদের মোবাইলের মাধ্যমেই তাঁদের গতিবিধি জেনে গিয়েছিল ইউক্রেন। সেনা ছাউনির অবস্থান বুঝে নিয়েই মিসাইল উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। সরকারি ভাবে মৃতের সংখ্যা ৮৯ হলেও, বেশ কয়েকটি রুশ সংগঠনের দাবি, মৃতের সংখ্যা শতাধিক। বিপুল সংখ্যক সেনার মৃত্যুর খবর পেয়েই পুতিনের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হন রাশিয়ার সাধারণ মানুষ। ইউক্রেন আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত কতখানি ভুল, সে নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন নেটিজেনরা। যুদ্ধক্ষেত্রে কেন নিয়ম ভঙ্গ হচ্ছে, এই প্রসঙ্গে সাধারণ মানুষের আক্রমণের নিশানায় পড়েন রুশ সেনা কর্তারাও।