হরান: ইরানে একপ্রকার স্বাধীনতার আমেজ। মূলত নারীদের জন্য। দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফল তাঁরা হাতেনাতে পেল। ২০০৬ সালে গস্ত এ এরশাদ নামে একটি নীতিপুলিশের দল গঠন করা হয়। এই বাহিনীর নামের অর্থ পথপ্রদর্শক বাহিনী। কিছুদিন আগে হিজাব না পড়ে এক তরুণী রাস্তায় বের হওয়ায় তাঁকে তুলে নিয়ে যায় এই বাহিনী। হেফাজতেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই পথে নামেন ইরানের বেশ কয়েকজন মহিলা। হিজাব বিরোধী তীব্র আন্দোলন শুরু হয় ওই দেশে। গোটা বিশ্ব থেকে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। এরপরই নড়েচড়ে বসে ইরান প্রশাসন। তাঁদের তরফে রবিবার ঘোষণা করা হয়, এই নীতি পুলিশ বাহিনীকে তুলে নিচ্ছে সরকার। প্রায় ১৬ বছর পর এই বাহিনীর যাত্রা শেষ করা হল বলে জানা গিয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ জাফর মন্তেজারি জানান, এই নীতি পুলিশরা বিচার ব্যবস্থার কোনও অংশ ছিল না। জোর খাটাতেই বাহিনী তৈরি। সরকার তাদের প্রত্যাহার করেছে। প্রশাসনের নীতি পুলিশ প্রত্যাহার করাকে মহিলাদের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় আন্দোলনের সাফল্য বলে দেখছে গোটা বিশ্ব। ইরানের একটি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবরটি গোটা বিশ্বের সামনে এসেছে। শুধু তাই নয়, হিজাব আইন সংশোধনের বিষয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ। হিজাব বিরোধী একের পর এক আন্দোলনে প্রতিবাদীদের পাশেই দাঁড়াচ্ছে গোটা বিশ্বের বেশিরভাগ। দিন দুয়েক আগে দেশের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি এই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, সাধারণতন্ত্র এবং ইসলামিক প্রতিষ্ঠানগুলি সাংবিধানিকভাবে মজবুত ভিতের উপর প্রতিষ্ঠিত। তবে সংবিধানের বদলা না কিছু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্ভব। এরপরই হিরাবাইন বদলাতে পারে বলে শোনা গিয়েছে। কিন্তু কী ধরনের বদল আনা হবে তা সুস্পষ্ট জানানো হয়নি।