নিজস্ব প্রতিবেদন: দীর্ঘ ৪০ বছর পর জেগে উঠেছে বিশ্বের বৃহত্তম আগ্নেয়গিরি। যার ফলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। গত ২৭ নভেম্বর থেকেই হাওয়াইয়ের মাউনালোয়াতে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম সক্রিয় আগ্নেয়গিরি মৌনা লোয়া থেকে অগ্ন্যুৎপাত হয়ে চলেছে। আর সেই অগ্ন্যুৎপাতে প্রায় ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হাইওয়ের রাস্তা উত্তপ্ত লাভায় ভরে গিয়েছে। এছাড়াও আগ্নেয়গিরির তলায় ভূমিকম্পের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে এলাকায়। তাই অনেকেই মনে করছেন এটি হল অগ্ন্যুৎপাতের কারণ।
জানা গিয়েছে, গত সোমবার থেকে মৌনা লোয়া আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। প্রায় ৪০ বছর পর অগ্ন্যৎপাত শুরু হওয়ায় এখনও পর্যন্ত লাভা উদ্গীরণ হয়ে চলেছ। একেবারে আগ্নেয়গিরির চূড়ায় পাথরগুলি গলিত হয়ে নদীর আকারে প্রবাহ হতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি এমন যে মৌনা লোয়া সংলগ্ন হাওয়াই হাইওয়েতে লাভার স্তূপ এগোতে শুরু করেছে। হাইওয়েতে লাভা এবং ছাইয়ের স্তূপ বাড়তে থাকায় যান চলাচলেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। ভলক্যাবনোস ন্যাশনাল পার্কের কাছে যানজটেরও সৃষ্টি হয়েছে। আবার, মৌনা লোয়ার উপরে আকাশে মেঘের রাশি এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যাচ্ছে। কবে এই অগ্ন্যুৎপাত বন্ধ হবে তা স্পষ্ট নয়। তবে শীঘ্রই পরিস্থিতির বদল ঘটবে বলে আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।
শেষবারের মত এই আগ্নেয়গিরিতে অগ্নুৎপাত হয়েছিল ১৯৮৪ সালে। সেই সময় ২২ দিন স্থায়ী হয়েছিল এই অগ্নুৎপাত। সেই সময় আশেপাশের বাসিন্দাদের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার সতর্কবার্তা জানানো হয়েছিল। আবার অগ্নুৎপাত শুরু হওয়ায় গত সোমবার থেকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ২০ লক্ষ মানুষকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে এবং জানানো হয়েছে অগ্নুৎপাত ঘটলে আগ্নেয়গিরি সজীব হয়ে যেতে পারে। ফলে এলাকা ছাড়ার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সালফার ডাই অক্সাইডের মত ক্ষতিকর গ্যাসের পরিমাণ বাড়ছে, যা জীবজাতির জন্য অত্যন্ত বিপদজ্জনক। তবে এই এলাকার বায়ুর মান ভালো থাকলেও অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বায়ুর মান খারাপ হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।