কিয়েভঃ ফেব্রুয়ারী থেকে রাশিয়ার সাথে শুরু হওয়া যুদ্ধে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে মদত দিচ্ছিল ন্যাটো দেশগুলি। এখন যখন যুদ্ধের তীব্রতা বাড়িয়ে আক্রমণ শানাচ্ছে পুতিনের দেশ, তখন ওই দেশগুলি অস্ত্র সরবরাহ কমিয়েছে বা বন্ধ করেছে, এক সংবাদ সংস্থার রিপোর্টে এরকমই এক তথ্য উঠে আসছে। নিজেরাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং তারা এখন সম্ভাব্য রাশিয়ান আক্রমণ থেকে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।তবে ইউক্রেনের জন্য স্বস্তির বিষয় হলো যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে অর্থনৈতিক ও অস্ত্র সহায়তা বন্ধ করেনি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউক্রেনকে সাহায্য করা থেকে বেশিরভাগ ন্যাটো দেশের সরে যাওয়াকে এক প্রকার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বড় জয় হিসেবে দেখা যেতে পারে। রাশিয়া যে বিশ্বের এক শক্তিশালী দেশ তা আবার সামনে এল। পারমাণবিক অস্ত্র থেকে শুরু করে অনেক প্রাণঘাতী অস্ত্রের মজুদ রয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। গত এক বছরে রাশিয়ার অস্ত্র মজুদও ক্ষতিগ্রস্ত হলেও শেষ হয়নি।সম্প্রতি, রাশিয়ান সেনারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ সহ অনেক শহরে ইরানি ড্রোন দিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এখন রাশিয়ান সৈন্যরা খেরসন শহরে ইউক্রেনের সৈন্যদের বিতাড়নে নিয়োজিত রয়েছে।
সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, ইউক্রেনকে সাহায্য করে অনেক ইউরোপীয় দেশ নিজেরাই দরিদ্র হয়ে পড়েছে। ন্যাটোর অনেক দেশই বর্তমানে অস্ত্রের ঘাটতির সম্মুখীন। এরকম সময় তারা এখন নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। গত কয়েক মাস ধরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বেশ কয়েকটি ন্যাটো দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে।কিন্তু এখন অনেক ছোট ন্যাটো দেশ এমনকি কিছু বড় দেশের অস্ত্র ফুরিয়ে গেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে যে তাৎক্ষণিকভাবে অস্ত্র তৈরি করা অনেক ন্যাটো দেশের জন্য কঠিন।বিশ্ব বর্তমানে অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন।এমন পরিস্থিতিতে অনেক ছোট ন্যাটো দেশের পক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাণঘাতী অস্ত্র আমদানি বা প্রস্তুত করা প্রায় অসম্ভব।অনেক বড় দেশও এর থেকে বাদ পড়েনি।এর পেছনে বড় কারণও শক্তিশালী প্রতিরক্ষা খাতের অনুপস্থিতি।
এখন এই ন্যাটো দেশগুলো দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে কি তারা ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য ইউক্রেনে তাদের অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখবে নাকি রাশিয়ার সম্ভাব্য আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করবে?