নিজস্ব সংবাদদাতা : কেভিডের তৃতীয় ঢেউ নতুন করে দাপট দেখাচ্ছে পূর্ব ইউরোপের বেশ কিছু দেশে। রীতমতো বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বেলারুশ, জর্জিয়া, রাশিয়া ও ইউক্রেনে। এই অবস্থায় সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO। তাদের মতে, এখনই বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার সময় আসেনি। তাতে হিতে বিপরিত হতে পারে। এইসঙ্গে দেশগুলিকে টিকাকরণের গতি বাড়াতে পরামর্শ দিল হু।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপের আঞ্চলিক প্রধান হান্স ক্লাজ বলেন, “পূর্ব ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে বিগত কয়েক দিনে সংক্রমণ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এই অবস্থায় দেশগুলিকে নতুন করে বিধিনিষেধে জোর দিতে হবে। এইসঙ্গে টিকাকরণের গতি বাড়াতে হবে।” এদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপের আঞ্চলিক প্রধান টিকাকরণ বাড়াতে দেশগুলিকে কৌশলগত পরামর্শ দেন। বলেন, “যে সব এলাকায় টিকার চাহিদা কম রয়েছে, তা চিহ্নিত করতে হবে প্রশাসনকে।
কেন টিকা নিচ্ছেন না সেই অঞ্চলের মানুষ, তা জেনে জরুরি ভিত্তিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে।” বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক প্রধান আরও বলেন, “কোভিডের দাপট কমাতে হলে এখনই বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া যাবে না।” দেশগুলির টিকাকরণ অভিযান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “বসনিয়া, বুলগেরিয়া, কিরঘিজস্তান, ইউক্রেন ও উজবেকিস্তানের মতো দেশে ৬০ বা তার চেয়ে বেশি বয়সিদের মাত্র ৪০ শতাংশ এখনও পর্যন্ত টিকার দু’ টি ডোজ পেয়েছেন। এটা হতাশাজনক।”
এদিকে ফ্রান্সের পরে এ বার বেলজিয়ামেও শুরু টিকা-বিরোধী বিক্ষোভ। শ’য়ে শ’য়ে গাড়ি, ভ্যান, ট্রাক নিয়ে লোকজন কানাডার অটোয়ার ধাঁচে ব্রাসেলসে পথ অবরোধের চেষ্টায়। ঠিক যেমন শনিবার প্যারিসের শঁজ়ে লিজ়েতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল কয়েকশো গাড়ি-ট্রাক। প্যারিসে ৯৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে টিকা-বিরোধী বিক্ষোভ দেখানোয়। শঁজ়ে লিজ়েতে বিক্ষোভ রুখতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয় পুলিশকে।
এই ঘটনার পরেই বিক্ষোভকারীদের একাংশ চলে এসেছে ব্রাসেলসে। ও দিকে, অটোয়াতেও সেই পুরনো ক্ষোভের চেহারা। অন্তত ৪ হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হন। বিক্ষোভ-পাল্টা বিক্ষোভ। একটানা বিক্ষোভে বিপর্যন্ত অটোয়া-বাসী। দিনরাত গাড়ির হর্ন বাজিয়ে প্রতিবাদ, না হলে জোরে গান চালিয়ে। রাস্তায় যানজট লেগেই রয়েছে।