ইসলামাবাদ : চরম আর্থিক সংকটে ডুবে যাচ্ছে পাকিস্তান। রোজগারের খাদ্য শস্যের দাম আকাশ ছুঁচ্ছে। খাবারের জন্য মানুষ মানুষেকে মারছে। ট্রাকের পিছনে গাড়ি নিয়ে দৌড়াচ্ছে। যে হরে রোজ জিনিস পত্রের দাম বাড়ছে তাতে মানুষের বেঁচে থাকা দায় হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কত দাঁড়িয়েছে? আসুন দেখে নেওয়া যাক;
পাকিস্তানে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয় পেঁয়াজ। প্রধান খাদ্য রুটি। কিন্তু, আটার যা দাম দাঁড়িয়েছে, তাতে পাকিস্তানিরা আর কতদিন রুটি তৈরি করতে পারবেন, তা নিয়েই সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ২০ কেজি আটার বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩০০০ টাকায়! ২০২২ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানে ১ কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল গড়ে ৩৬। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সেই দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২০ টাকায়! ২০২২-এ মসুর ডালের দাম ছিল প্রতি কেজি ১৫০ টাকা। এই বছর তা বেড়ে হয়েছে ২২৮ টাকা। আর এক কেজি মুগ ডাল ছিল ১৭১ টাকা, এখন তা বেড়ে হয়েছে ২৫২ টাকা। গত বছর প্রতি কেজি মুরগির মাংস বিক্রি হত ২১০ টাকায়। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ৩৮৩ টাকা। ২০২২-এ প্রতি কেজি বাসমতি চালের দাম ছিল ১০০ টাকা। এই বছর তা বেড়ে হয়েছে প্রতি কেজি ১৪৬ টাকা। প্রতি কেজি সরিষার তেলের দাম বেড়ে হয়েছে ৫৩২ টাকা। আর প্রতি লিটার দুধ বিক্রি হচ্ছে ১৪৯ টাকায়। শুধু শাক-সবজি, খাদ্যশস্য বা দুধই নয়, হু হু করে দাম বেড়েছে ফলেরও। বর্তমানে একেকটি কলা বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা করে।
পাকিস্তানের এই আর্থিক সংকটের কারণে সেখানকার সরকার এর দায় চাপিয়েছে বন্যার উপর। ২০২২ এর তিন মাস ভয়াল বন্যায় ভেসে গিয়েছে পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ক্ষতি হয়েছে একরের পর একরের জমির। তবে যেহেতু বন্যার আগে পাকিস্তানের পরিস্তিথি খুব একটা ভালো ছিলোনা তাই বন্যার পরে সেই দাম আকাশ ছোঁয়া হয়েছে। পাশাপাশি সেই দেশের ঋণের পরিমাণও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বর্তমানে ঋণের পরিমাণ দেশের জিডিপির ৭৭ শতাংশেরও বেশি। বিশেষজ্ঞ মহল দাবি করছে, পাকিস্তানের অবস্থা শ্রীলংকার মতো হচ্ছে।