মস্কো: বেশ কিছু দিন ধরে রাশিয়ার আগ্রাসন রুখতে ইউক্রেন ন্যাটো র সদস্যপদ নিতে চেয়েছিল। রাশিয়া এই প্রক্রিয়ার প্রথম থেকেই বিরোধীতা করেছিল। অবশেষে ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেনের উপর সামরিক অভিযান শুরু করে। সাত মাস হয়ে গেল তবু কিছুতেই দেশটাকে বাগে আনতে পারছে না রাশিয়া।
যুদ্ধের প্রথম থেকেই পূর্বই ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চলের ওপর নিজেদের জোর কায়েম করতে থাকে রাশিয়া। সে অবস্থাতেই পশ্চিমী দেশের সাহায্যে ইউক্রেন নিজেদের লুপ্ত জমি ফিরে পাবার প্রয়াস শুরু করে দেয়।

দুই দেশের লড়াইতে কয়েক হাজার সৈন্য মারা যান। ঐতিহাসিক এক সিদ্ধান্তে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমের পুতিন প্রায় দুই লক্ষ সংরক্ষিত সেনার সমাবেশ ঘোষণা করেন। দেশ ছেড়ে চলে যেতে থাকে নবীন যুবকরা।
অপরদিকে রাশিয়া এক গণভোটের আয়োজন করেছিল অধিকৃত ইউক্রেনে। গণভোটের রায় তাদের পক্ষেই যায়। মস্কো ঘোষণা করেছে ঘোষণা করেছে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। সেই চারটি অঞ্চল, লুগানস্ক, খেরসন, ডনেৎস্ক এবং জাপরঝিয়া শুক্রবার ৩০ শে সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হবে।

প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রী পেসকভ বলেছেন,” আগামীকাল গ্রান্ড ক্রেমলিন প্রাসাদের জর্জিয়ান হলে নতুন অঞ্চল গুলিকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করতে স্বাক্ষর করার অনুষ্ঠান রয়েছে।”
অপরদিকে যুদ্ধের প্রথম থেকেই ভারত বর্ষ দুই দেশকেই যুদ্ধ থেকে বিরতরা থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছিল। তারমধ্যে এই দিন উঠে আসে রাশিয়া আয়োজিত এই গণভোটে উপস্থিত ছিল ভারতের এক পর্যবেক্ষকের। বিতর্ক শুরু হয় গণভট নিয়ে বিতর্কের আবহাওয়া ভারতের বিদেশ মন্ত্রী জয় শংকর বলেছেন রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ভারতীয় দূত এ ব্যাপারে সমস্ত কথা বলবেন।