কাবুল: আফগানিস্তান দখল নেওয়ার পর থেকেই সেখানকার মেয়েদের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করে যাচ্ছে তালিবানরা। সম্প্রতি সেখানকার মেয়েদের পড়াশোনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে সেই ঘোষণার এক সপ্তাহ পরেই নির্দেশিকা কিছুটা শিথিল করল সেদেশের সরকার। ‘উচ্চ শিক্ষা নয়! প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করতে পারবে আফগান মেয়েরা।’ অবশেষে মেয়েদের পড়াশোনায় অবশেষে অনুমতি দিল আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। ব্যাপারে ইতিমধ্যে একটি নির্দেশিকাও জারি করেছে তালিবানের শিক্ষা মন্ত্রক। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, মেয়েরা সরকারি অথবা প্রাথমিক স্কুলে প্রথম শ্রেণি থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করতে পারবে। তবে ইসলামিক রীতি মেনে পোশাক পরেই স্কুলে যেতে হবে।
গত সপ্তাহেই আফগানিস্তানে মেয়েদের পড়াশোনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা-সহ মেয়েদের উচ্চশিক্ষা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করে এক নির্দেশিকা জারি করে আফগানিস্তানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রক। যখন গোটা বিশ্ব সামনের দিকে এগোচ্ছে, মহিলারা মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছে, তখন আফগানিস্তানের মেয়েদের এই পরিস্থিতি গোটা বিশ্বের কাছে দুঃসহ। যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। এমনকি মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলিও তালিবান সরকারের এই ফতোয়ার কড়া নিন্দা করে। মহিলাদের প্রতি তালিবান সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন।সেই চাপে পড়েই বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের অগাস্টে তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই সে দেশের মেয়েদের উপর নেমে আসে একের পর এক কোপ। প্রথমে বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে মহিলা কর্মীদের ছাঁটাই শুরু হয়, পোশাক নিয়ে কড়া বিধি-নিষেধ জারি হয়। হিজাব, বোরখা ছাড়া মহিলাদের বাড়ির বাইরে বেরোনো এমনকি পরিবারের কোনও পুরুষ সদস্য ছাড়া একাকী বেরোনোর ক্ষেত্রেও কড়া নির্দেশিকা জারি হয়। এরপর পার্ক, জিম-এ যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। অবশেষে মেয়েদের পড়াশোনাতেও দাঁড়ি পড়ে