নিজস্ব সংবাদদাতা : যেকোনও উপায়ে এখন দেশ ছাড়তে চেষ্টা চালাচ্ছেন কাবুল, জালালাবাদ সহ আফগানিস্থানের বিভিন্ন শহরের বাসিন্দারা। সোমবার ভোরের আলো ফোটার আগে থেকেই আফগানরা ভিড় জমিয়েছেন শহরের বিমানবন্দরগুলোতে। সেখানকার অবস্থা জনসমুদ্র। ইতিমধ্যেই কাবুল বিমানবন্দরের ভিড়ের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
যেখানে দেখা যাচ্ছে, আগে বিমানে উঠতে একজন অন্যজনকে ঠেলে ফেলে দিচ্ছেন। বিমানে ওঠার সিঁড়িতে লম্বা লাইন। সেখানেও কার্যত নৈরাজ্য। ঠেলা-ঠেলি, মারপিঠ চলছে। টার্মিনালে হাজারে হাজারে মানুষের ভিড়। উড়ান ছাড়বে কিভাবে তা নিয়েই সংশয়। যে ভিডিও সামনে আসছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, উড়ানের মধ্যে কোন রকমে প্রবেশের জন্য রীতিমত মারামারি চলছে।
সিঁড়িতে লম্বা লাইন। জায়গা পেতে সিঁড়ির পাশ দিয়েও মানুষ উড়ানের দরজার সামনে পৌঁছচ্ছে কোনওমতে। যেকোনও সময়ে ঘটে যেতে পারে বড় কোনও দুর্ঘটনা। রাজধানী কাবুলের পরিস্থিতির টুইটে জানিয়েছেন সেদেশের সাংবাদিক জাওয়াদ সুখানওয়ার। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘কাবুলের আরও একটি দিনের শুরু। মানুষ কাবুল বিমানবন্দরের দিকে দৌড়চ্ছে।’ অন্যদিকে তালিবানরা ফতোয়া জারি করে ১৭ আগস্ট সকাল ৮টা পর্যন্ত সবাইকে বাড়ির ভিতরেই থাকতে বলেছে।
কাবুল এয়ারপোর্টে কমার্শিয়াল বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে এখন শুধু সৈন্য বিমানই উড়তে পারবে। এরমধ্যে অনেকেই দেশ ছেড়ে যাওয়ার জন্য মোটা টাকা খরচ করছে। অনেকেই ভিসা বানানোর জন্য দূতাবাসের চক্কর কাটছে। আর এতকিছুর মধ্যে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্সের মতো দেশগুলিকেও চিন্তিত দেখা যাচ্ছে।
তারা আফগানিস্তান থেকে নিজেদের নাগরিকদের উদ্ধারের জন্য স্পেশ্যাল ফ্লাইট চালাচ্ছে। ভারতও স্পেশ্যাল ফ্লাইটের মাধ্যমে রবিবার কাবুল থেকে সমস্ত নাগরিকদের উদ্ধার করে দেশে ফেরায়।