নিজস্ব সংবাদদাতা : ওমিক্রনের আরও উপপ্রজাতি সামনে এসেছে। যাকে- ‘চোরা ওমিক্রন’ নাম দিয়েছে গবেষকরা। জিনোমিক সিকোয়েন্সসিং-এ ধরা পড়েছে এই নয়া সাব-স্ট্রেনটি। বলা হচ্ছে, এই ‘চোরা ওমিক্রন’কে আরটি পিসিআর টেস্টেও ধরা যাচ্ছে না। ব্রিটিশ স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে নয়া বিএ.২ ভ্যারিয়েন্টটি নিয়ে ফের চিন্তা বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে যত ওমিক্রন নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং হয়েছে, তার মধ্যে দেখা গিয়েছে যে ৯৯ শতাংশই বিএ.১ সাব-স্ট্রেন।
গবেষকদের মতে, BA.2 সাব-স্ট্রেন BA.1-এর সঙ্গে মিলিত হয়ে ৩২টি স্ট্রেন তৈরি করেছে। যেহেতু এই ভাইরাসটি আরএনএ ভাইরাস। তাই এর মিউটেশন ক্ষমতাও অনেক বেশি। গবেষকদের দাবি আরও ২৮টি নতুন স্ট্রেন তৈরি হতে পারে। গবেষকরা বলছেন যে BA.1-এর একটি মিউটেশন রয়েছে- “S” বা স্পাইক জিনে পরিবর্তন এসেছে। আরটি পিসিআর পরীক্ষায় যা দেখে Omicron-কে সহজেই সনাক্ত করা যায়। বরং BA.2 তে -একই মিউটেশন নেই। ফলে আরটি পিসিআর টেস্টে এইও স্ট্রেনকে সনাক্ত করা যাচ্ছে না এখনও।
যা উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। এতদিন পর্যন্ত অতিমারির প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের উপরেই। তুলনায় শিশুদের নিয়ে সমস্যা ছিল অনেকটাই কম। তবে ওমিক্রনের উৎপত্তি বদলে দিয়েছে সেই চিত্র। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ওমিক্রনের দাপট বাড়ার পর থেকে শিশুদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের হার বেড়েছে। এর জেরে শিশুদের হাসপাতালে ভর্তির হারও বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, গর্ভাবস্থায় টিকাকরণ সম্পূর্ণ করলেও শিশুদের সুরক্ষার বিষয়টি অনেকটাই নিশ্চিত করা যায়। কারণ এর ফলে অ্যান্টিবডি মায়ের থেকে গর্ভস্থ সন্তানের শরীরে পৌঁছে যায়। তবে অনেক অন্তঃসত্ত্বাই এতে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তা তাঁদের জন্য কতটা নিরাপদ হবে তা নিয়ে তাঁরা সন্দিহান।