নিজস্ব প্রতিবেদন: বেনারসের মন্দির নিয়ে রমরমার শেষ নেই। এবার সেই মন্দির হাজির খাস কলকাতায়। কলকাতা বা শহরতলীর কাছে যারা থাকেন যদি না এসে থাকেন একবার ঘুরে যান এই মন্দির থেকে। মন্দিরটি নতুনভাবে নির্মাণ হয়েছে। কলকাতার খুব কাছে আলমবাজারে এই মন্দির।

এই মন্দিরটি পুরোটাই শ্বেত পাথরে তৈরি। মন্দিরটিতে প্রবেশ করলে মনে হবে যেন বৃন্দাবনের কোনো মন্দিরে প্রবেশ করেছেন।
এই মন্দিরে আসলেই দেখা মিলবে করছেন শ্রী দ্বারকাধীশ শ্রী কৃষ্ণ। রয়েছে রাধা কৃষ্ণের যুগল মূর্তি সঙ্কট মোচন হনুমান জী এবং অন্যান্য দেবতা। মন্দির টি এক কথায় অসাধারণ। মন্দিরের বাইরের দেওয়ালে পাথর কেটে নানান নক্সা তৈরি করা আর ভিতরে গর্ভ গৃহের সামনে উপরের দিকে বিশাল কাঁচের কাজ। তার ভিতরে ময়ূরের পেখমের নক্সা ।

গর্ভগৃহের মাঝখানে আছেন শ্রীশ্যাম বাবার বিগ্রহ, একপাশে রাধাকৃষ্ণ র বিগ্রহ, আর একপাশে গণেশ জি, শিব লিঙ্গ ও হনুমান জির বিগ্রহ। মন্দিরটিতে সন্ধ্যাবেলা যখন লাইট জ্বলে ওঠে মন্দির টি তখন অপরূপ সুন্দর হয়ে ওঠে। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা এবং বিকাল ৪ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত মন্দির খোলা থাকে।

সন্ধ্যা ৫.৩০টা থেকে ৬টার মধ্যে এলেই হয় সন্ধ্যাআরতি। এই মন্দিরে যেতে বরাহনগর ষ্টেশন থেকে অটো করে প্রথমে বনহুগলী, রাস্তা পার করে আবার অটো। ঠিক আলমবাজার নারায়নি সিনেমা হলের সামনে। কলকাতা থেকে বাসে এলে বনহুগলী স্টপেজে নেমে দক্ষিণেশ্বরের অটো ধরেও আসতে পারেন। আবার হাওড়া থেকে ট্রেনে এসে বালি স্টেশন, সেখান থেকে অটো বা বাস এ দক্ষিণেশ্বর কিংবা আলমবাজার, BSF ক্যাম্প স্টপ।
এই মন্দিরটি 1027 খ্রিস্টাব্দে রূপসিং চৌহান তার স্ত্রী নর্মদা কানওয়ার সমাহিত মূর্তি সম্পর্কে স্বপ্ন দেখার পরে তৈরি করেছিলেন। যে জায়গা থেকে মূর্তি খনন করা হয়েছিল তার নাম শ্যাম কুন্ড। 1720 খ্রিস্টাব্দে, মারওয়ারের তৎকালীন শাসকের নির্দেশে দিওয়ান অভাইসিংহ নামে পরিচিত একজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি পুরানো মন্দিরটি সংস্কার করেন। কথিত আছে, মহাভারত যুদ্ধ শুরুর আগে, বারবারিকার শেষ ইচ্ছা ছিল “মহাভারত” যুদ্ধ দেখার তাই ভগবান কৃষ্ণ নিজে যুদ্ধ দেখার জন্য বারবারিকের জন্য একটি পাহাড়ের চূড়ায় তাঁর মাথা রেখেছিলেন। কলিযুগ শুরু হওয়ার বহু বছর পরে , বর্তমান রাজস্থানের খাতু গ্রামে মাথাটি সমাহিত করা হয়েছিল। কলিযুগ শুরু হওয়ার পর পর্যন্ত স্থানটি অস্পষ্ট ছিল ।