নিজস্ব সংবাদদাতা:আপেল সিডার ভিনেগার মূলত আপেলকে গাজনের মাধ্যমে প্রসেসিং করে তৈরি করা হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম রয়েছে। এটি যেমন শরীরের ক্ষেত্রে নানা উপকার করে তেমনি রূপচর্চার ক্ষেত্রেও এর জুড়ি মেলা ভার। কি কি উপকারিতা রয়েছে এবার জেনে নেওয়া যাক-

১.ব্লাড সুগারের সমস্যায় অনেকেই ভুগেন যা নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক দামি দামি ওষুধ খেতে হয়।যদি আপনি দামি দামি ওষুধ না খেতে চান সেক্ষেত্রে ঘরোয়া পদ্ধতি বেছে নিতে পারেন।আপেল সিডার ভিনেগার ব্লাড সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস ও ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
২.ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আপেল সিডার ভিনেগার অনেক সাহায্য করে। এটি খাওয়ার ইচ্ছাশক্তিকে দমন করে শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে।প্রতিদিন আপেল সিডার ভিনেগার দুই চামচ করে খেলে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে তা সাহায্য করে।টানা ১২ সপ্তাহ এটি সেবন করলে তলপেটের চর্বি অনেকটা কমে আসতে পারে।

শীতকালে অনেকে খুশকির সমস্যায় ভোগেন।যার থেকে নিস্তার পাওয়া বেশ দুষ্কর ব্যাপার।সেক্ষেত্রে আপেল সিডার ভিনেগারের তুলনা নেই। এক টেবিল চামচের চারভাগের এক ভাগের সাথে এক কাপের চার ভাগের একভাগ জল মিশিয়ে মাথার স্কাল্পে ভালো করে ঘষে ১৫ মিনিট রেখে দিন তারপর শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে দুইবার করলে ভালো ফল পাবেন।
প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে এই অ্যাপেল সিডার ভিনেগার।এটির মধ্যে থাকে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রভাব যা মুখে ব্রণের বৃদ্ধি কমিয়ে আনে এবং ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। এটি মুখের পিএইচ এর মাত্রা ঠিক রাখে এবং অন্যান্য দাগ দূর করতেও সাহায্য করে।

ডায়রিয়া হলে খুব কাজ দেয় এই আপেল সিডার ভিনিগার ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে ডায়রিয়া হলে আপেল সিডার ভিনিগার এক চামচ খালেই এটি খুব কাজ করে।
অন্যান্য ভিনেগারের মতোই আপেল সিডার ভিনেগারও খাবার সংরক্ষণে প্রিজারভেটিভ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এটাতে এসিটিক এসিড থাকার কারণে এটা খাবারের এনজাইম ও ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে।

অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকার কারণে আপেল সিডার ভিনেগারের সাথে জল মিশিয়ে কলকুচি করে ফেলে দিলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
গৃহস্থালির বিভিন্ন পণ্য যেমন থালা-বাসন পরিষ্কার করার জন্য ডিশওয়াশারের সঙ্গে আপেল সিডার ভিনেগার মিশালে খুবই দরকারি ডিটারজেন্ট হিসেবে কাজ করবে।