বাঙালির ইলিশ নিয়ে আদিখ্যেতার শেষ নেই শুরু থেকেই। ভাজা, ভাপা, ঝোল, কশা, নোনা- একটা মাছের স্বাদ নিয়ে নিয়ে কতরকমভাবে যে খেলা যায়, তা এদের না দেখলে বোঝা দায়। কিন্তু এই ইলিশ খাওয়ারও নাকি চল জায়গা বিশেষে আলাদা। ইতিহাসের সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে এই মাছ। জানার জন্যে পড়তে হবে আর্টিকেলটি।
তত্ত্বে ইলিশ বা গায়ে হলুদে ইলিশ বাংলাদেশের এক অত্যন্ত প্রচলিত প্রথা। সরস্বতী পুজোয় ইলিশ দেওয়া হলে মা লক্ষ্মী যদি রাগ করেন! এই ভেবে লক্ষ্মীপুজোতেও অনেকে ইলিশ খায়।

পয়লা বৈশাখে বহু জায়গাতেই ইলিশ মাছ দিয়ে পুজো করা হতো। খোকা হলেও চলবে। বাঙাল বিয়েতেও জোড়া ইলিশ দেওয়ার চল ছিল। এখনও সেই রীতি অনেকেই বজায় রেখেছেন।

দেড়- দু’কিলো ইলিশ খাওয়া সাধারণ মধ্যবিত্তের পক্ষে ইতিহাসের অতীত। বাজারুদের হাঁকা দামে দূর থেকে দেখে হাসা ছাড়া উপায় নেই। রূপোলী শস্যর চমক ঘরে আনা প্রায় অসম্ভব। খোকার দামই ৬০০-৭০০।

আমেরিকাতে ইলিশ খুব একটা ভালো পাওয়া যায় না। শ্যাড মাছকে পরিপূরক হিসেবে ব্যবহার করার আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ এই শ্যাড বা ইলিশ, লিভারের পক্ষে অত্যন্ত ভালো।

এতেই শেষ নয়, ইলিশ জড়িয়ে ইতিহাসের সঙ্গেও। এক জেলে অচেনা এক মাছকে নদী থেকে ধরে মহম্মদ বিন তুঘলক সাহেবের কাছে নিয়ে আসেন। গোটা মাছটি তাঁর খানসামাকে দিয়ে রাঁধিয়ে খেয়েও ফেলেন মহম্মদ বিন তুঘলক। তা খেয়েই পটল তোলেন নবাব সাহেব। এই ইলিশই কী মৃত্যুর কারণ, তা অবশ্য জানা যায়নি। এমনকী, বিবেকানন্দও মৃত্যুর আগে ইলিশই নাকি খেয়েছিলেন!