নিজস্ব প্রতিবেদন: মুর্শিদাবাদেও ছিল বারাণসী। যার নাম ছিল বড়নগর। ভাগীরথী নদীর তীরে এই জনপদ। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে কেউ মুগ্ধ হতে বাধ্য। রানী ভবানীর নানা স্মৃতি রয়েছে এই নগরে। তিনি দীর্ঘ সময় তাঁর বিধবা কন্যা তারাসুন্দরীকে নিয়ে বসবাস করেছিলেন এখানেই। তাঁর অামলেই এই এলাকার যা উন্নতি হওয়ার হয়। বিশাল জমিদারি তিনি নিজেই দেখাশোনা করতেন। অত্যান্ত দানী ছিলেন তিনি। দুঃস্থ ব্যক্তিদের দান করতেন। কারও দারিদ্রতা রয়েছে শুনলেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন। তার ইচ্ছাতে বদলে গিয়েছিল জনপদ। ভাগীরথী নদীর তীরে এখানকার প্রাচীন মন্দির গুলি নানা নিদর্শন বহন করে।

রানী ভবানীর আমলেই মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। এখানকার পরিবেশ অনেকটা বারাণসীর মতোই ছিল। এমন পরিবেশ রানী ভবানীর আমল থেকেই তৈরি হয়েছিল। নদীর তীরে প্রাচীন এই মন্দির গুলিতে কান পাতলেই যেন শোনা যায় ইতিহাসের নানা কাহিনী। মন্দিরে রয়েছে টেরাকোটার কাজ। খোদাই করা রয়েছে দশাবতার, দশমহাবিদ্যা রামায়ণ-মহাভারতের নানা যুদ্ধের নানা গল্পকথা। শিব মন্দির গুলি গড়ে উঠেছে অন্যরকম ভাবে। চার বাংলা মন্দির বলেই পরিচিত সেগুলি। মুর্শিদাবাদের বারাণসী সম্পর্কে পর্যটকদের অনেকের কাছে তথ্য থাকে না প্রায়ই। জেলায় ঘুরতে এসে অনেকেই বড়নগরে না এসে ফিরে চলে যান। মুর্শিদাবাদের এই বারাণসীতে পা দিলে অনেক অজানাই তথ্য পাওয়া যাবে। মন্দিরের গায়ে থাকা লিপি গুলি ইতিহাস জানিয়ে দেবে।