নিজস্ব প্রতিবেদন: কবিগুরুর কথায়,’ মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে মানুষের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই’। সবাই বলে কাশ্মির সৌন্দর্যের রানী। গুলমার্গ ও সোনমার্গের সৌন্দর্য্যে যখন আপনি বিভোর আর ঠিক তখনই যেন কোন এক স্বপ্নের রংতুলি দিয়ে আঁকা এক ছবির মত উপত্যকা। আপনার দু চোখ মেলে তাকাই না কেনও শুধুই আমার চোখে পড়ে হিমালয়ের তুষারবৃত পাহাড় আর অন্যদিকে সবুজ প্রান্তর।

কাশ্মিরকে পৃথিবীর ভূস্বর্গ বলা হয়। যে দিকেই তাকিয়ে দেখি কোথাও আখরোট ও আপেলের বাগান তো কোথাও জাফরনের ক্ষেত। আর তার সঙ্গে তো রয়েছে রঙবেরঙের ফুলের বাগান। কাশ্মীরকে যে পৃথিবীর স্বর্গ, সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সেই স্বর্গেরই অন্তর্গত পাহেলগাঁও। ভগবান যেন সৌন্দর্য উজাড় করে দিয়েছে। ফার, পাইন, উইলো, সিনার গাছের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এক অসাধারণ পিকচার পোস্টকার্ড। যদি কাশ্মির আসেন তাহলে অবশ্যই পাহেলগাঁওয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য আসবেন।

কাঠের সেতু, বাগান, রেস্তোরাঁ দিয়ে সাজানো বেতাব ভ্যালিতে স্বর্গীয় সৌন্দর্যের আভাস, অসাধারণ। পহেলগাঁও থেকে আরু, কোলহাই গ্লেসিয়ার, লিডারওয়স, তারসার লেক যেন ভূস্বর্গের অচেনা অচিনপুর। এই পরিবেশের মজা নেওয়া জন্য কম করে এখানে তিন রাত কাটাতে হবে আপনাকে এখানে। থাকার জন্য রয়েছে হোটেলেও। হোটেলের বিছানায় শুয়ে শুয়ে দেখা ঝরে যাওয়া চিনার পাতা আর লিডার নদীর শব্দ এমনিও আপনাকে এই জায়গা ছেড়ে যেতে দেবে না।