জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণকে ৫৬ প্রকারের অন্ন-ব্যঞ্জন-মিষ্টান্ন নিবেদন করা হয় এমনটি প্রথা প্রচলিত রয়েছে সারা দেশজুড়ি। কিন্তু আপনারা কি জানেন যে প্রত্যেক প্রচলিত প্রথার পিছনের একটি কারন থাকে।
‘ভাগবত পুরাণ’ অনুযায়ী, একবার গ্রামবাসীর উপর দেবরাজ ইন্দ্র ক্রুদ্ধ হন। তখন তিনি ওই গ্রামের উপর বজ্রপাত ঘটান। সেই সময় দেবরাজ ইন্দ্রের রোষ থেকে তাঁর গ্রামবাসীদের বাঁচাতে শ্রীকৃষ্ণ গিরি গোবর্ধন পর্বত ধারণ করেন।এই পর্বতই আশ্রয় নেয় গ্রামবাসীরা দেবরাজ ইন্দ্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে। এইভাবে টানা সাত দিন ধরে ওই গ্রামের উপর বজ্রপাত ঘটান বজ্রবিদ্যুতের দেবতা ইন্দ্র। এই সাতদিন শ্রীকৃষ্ণ তার অঙ্গুলে গিরি গোবর্ধন পর্বত ধরে আর ওই পর্বতের নীচে আশ্রয়প্রাপ্ত গ্রামবাসীদের কোনও ক্ষতি হয় না। তারপর অবশেষ দেবরাজ ইন্দ্র তার ভুল বুঝতে পেরে বজ্রপাত বর্ষণ করা বন্ধ করে।কিন্তু গ্রামবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য সাতদিন ধরে ওই পর্বতকে কৃষ্ণ তার অঙ্গুলে ধরে রাখে যার ফলে ওই সাতদিন কৃষ্ণ কোনও খাদ্যগ্রহণ করেননি।
‘ভাগবত পুরাণ’ অনুযায়ী কৃষ্ণ প্রতিদিন ৮টি পদ আহার করতেন। ওই সাতদিন অভুক্ত থাকার পরে শ্রীকৃষ্ণ আহারে প্রবৃত্ত হন। তখন গ্রামবাসীরা শ্রীকৃষ্ণকে সাতদিনের আট প্রকার পদ, অর্থাৎ ৭ x ৮= ৫৬ টি পদ একবারে নিবেদন করেন। এই থেকেই শুরু হয় শ্রীকৃষ্ণকে ৫৬ ভোগ নিবেদন করার প্রথা।