নিজস্ব প্রতিবেদন: পুরাণে বহুবার সাপের মাথার নাগমনির কথা শুনেছে সকলে। সাপের মাথার সেই নাগমণি নাকি প্রচুর মূল্য। রাতের ঘুরতে অন্ধকারেও জ্বলজ্বল করে আলো দেখায় সেই নাগমণি। কিন্তু সেই নাগমণি কেউ ছুঁতে গেলেই সোনা তুলে তার দিকে ছোবল মারে নাগরাজ। পুরানে তো বহুবার নাগমণির কথা শোনা গিয়েছে। তবে আদতেও কি বাস্তবে আছে সেই নাগমণি?

নানা মহলে সাপের মাথার মণি অর্থাৎ যাকে নাগমণি বলা হয়। বেদ, পুরাণ, রামায়ণ, মহাভারত নানা জায়গায় এই মনি নিয়ে নানা আলোচনা। কিন্তু একটা প্রশ্ন থেকেই যায় সাপের মাথায় কি সত্যি মণি থাকে? অনেকেই বলে নাগমণি বলে কিছু হয়, আবার অনেকের মত বৃহত্সংহিতায় নগমণির উল্লেখ পাওয়া যায়। যাকে বলে নানা মুনির নানা মত। অনেকেই বলে যে এই মণি যে পায়, রাতারাতি গোটা বিশ্বের সমস্ত ক্ষমতা তার কুক্ষিগত হয়ে যেতে পারে।

যদিও বিজ্ঞানে এই নাগমণির কোনও জায়গা নেই।বিজ্ঞানীরা নাগমণির অস্তিত্ব উড়িয়ে দিলেও অনেকে আবার এখনও বিশ্বাসও করেন। অনেকে আজও ভাবেন এই পৃথিবীতে কোনও কোনও সাপের মাথায় সত্যিই মণি থাকে। নাগমণি নাকি আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের মতোই যার কাছে থাকে তার ভাগ্য খুলে যায়। যদিও সে সত্যি আজও প্রমান হয়নি। অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী এই মনির উল্লেখ রামায়ণেও পাওয়া যায়। শোনা যায় খোদ রাবণ নাকি সম্পদের দেবতা কুবেরের থেকে চন্দ্রকান্তা নামে একটি নাগমণি কেড়ে নেয়।

আর সেই মণির শক্তিতেই প্রবল ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠেন রাবন রাজ। অপরদিকে শোনা যায় মহাভারতেরও নাগমণির উল্লেখ আছে। অশ্বত্থামার কপালে জন্ম থেকে সেই মণি ছিল। এমনকি হিন্দুধর্মে তিন প্রধান দেবতার একটি করে মণিও ছিল। ব্রহ্মার মণির নাম চিন্তামণি, বিষ্ণুর মণির নাম কৌস্তভ মণি এবং মহাদেবের মণির নাম ছিল রুদ্রমণি। আজও এই মনে নিয়ে চর্চা সর্বত্র মহলে।