নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রচারে বেরিয়েই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে একের পর এক মামালা। আসন্ন পুরভোটে কাঁথি পুরসভায় প্রচারে যান শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে ভোট চাইতে দেখা যায় তাঁকে। সেখানেই শুভেন্দু হুমকি দিয়েছেন বলে থানার দ্বারস্থ হন ৩ স্থানীয় বাসিন্দা। যদিও শুধু কাঁথিই নয়, বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে গয়েশপুর ফাঁড়িতেও।
১০৮ পুরসভার নির্বাচনে ‘দুয়ারে দুয়ারে’ গিয়ে প্রচার সেরেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই তিনি হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই একই অভিযোগ উঠেছে শুভেন্দুর নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধেও। এরপরই ৩ স্থানীয় বাসিন্দা কাঁথি থানার দ্বারস্থ হয়। পুলিশের কাছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দায়ের হয় মামলা। এইদিনই প্রচার বের হলে শুভেন্দুকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানের মুখে পড়তে হয়। পাল্টা স্লোগান দেয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরাও। কাঁথির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মনহরচকের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
একইভাবে গয়েশপুর ফাঁড়িতেও বিতর্কে জড়ান বিরোধী দলনেতা। তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করার পরই দায়ের হয় মামলা। শুভেন্দুর খোঁচা, ”তৃণমূল প্রার্থী নারীপাচারের সঙ্গে যুক্ত।” আর এরপরই গয়েশপুর ফাঁড়িতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তৃণমূল প্রার্থী। তবে শুভন্দুর মতে, ”সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এমন অসভ্যতামি, নোংরামি কখনও কেউ করেনি। নির্বাচনে প্রচারের অধিকার সবার আছে।”
কাঁথি পুরসভায় দীর্ঘ ৩৬ বছর পর একটি ঘটনা ঘটেছে। রাজনৈতিক সচেতকদের মতে, অধিকারী পরিবারকে এবার পুরো বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৩৬ বছর পর এই প্রথম ওই পরিবার থেকে কেউ পুরনির্বাচনের প্রার্থী নন। যেখানে শিশির থেকে সৌমেন্দু প্রত্যেকেই চেয়ারম্যান পদে আসীন ছিলেন একটা সময়। দাদা শুভেন্দুর হাত ধরেই বিজেপিতে যোগদান করেন ভাই সৌমেন্দু। কিন্তু কোনও পদই দেওয়া হয়নি তাঁকে। এবার কাঁথি কলেজে ভবন তৈরিতে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।