নিজস্ব প্রতিবেদন: ২৭ তারিখই পুরভোট। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে বহরমপুর পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে। তার আগেই কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে ‘হুমকি’র অভিযোগ! যদিও কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছেন, এই অভিযোগ সত্যি নয়। উল্টে তাঁর দলের কর্মী-সমর্থকদেরই মারধর করা হয়েছিল। যে কারণে তিনি পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন। যদিও কোনও সহায়তা মেলেনি বলে অভিযোগ।
কী ঘটেছিল? সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার গভীররাতে বহরমপুর পৌঁছন অধীর চৌধুরী। যাওয়ার পথেই তিনি খবর পান, কংগ্রেস কর্মীদের মারধরের কথা। এরপরই সেখানে শুরু হয় বচসা। পরিস্থিতি সামলাতে আসে পুলিশ। সেখানে অধীর পুলিশকর্মীদের জানান, ”আমার কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। তৃণমূল বিরোধীশূন্য ভোট চায়। যে কারণেই গুণ্ডাদের দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। এই কারণেই আমি প্রতিবাদ করতে এসেছি। প্রতিবাদ করব।” এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতাও মুখ খুলেছেন। বহরমপুর টাউনের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ”অধীররঞ্জন চৌধুরী একজন সাংসদ। তিনিও এভাবে বাড়ি গিয়ে অন্য রাজনৈতিক দলের কর্মীদের হুমকি দিতে পারেন না।” কংগ্রেস সাংসদ কায়েস শেখ নামের তৃণমূল কর্মীকে তুলে আনার হুমকি দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সেই কর্মীর বক্তব্য, ”আমি ভোটের প্রচারে গিয়েছিলাম অন্য কর্মীদের সঙ্গে। বাড়ি ফিরে আসি রাত ১০টা নাগাদ। তারপর অধীর চৌধুরী আমার পাড়ায় আসেন। তিনি হুমকি দিয়েছেন আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার।’’