নিজস্ব প্রতিবেদন: এতো প্রচেষ্টার পরও লাভ হল না। বহরমপুর পুরসভা ধরে রাখতে পারলেন না কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। পুরভোটের নির্বাচনী প্রচারে দৌড়ে বেড়িয়েছেন তিনি। তাহলে খামতি কোথায় রয়ে গেল? বহরমপুর পুরসভাতেও ফুটলো ঘাসফুল। কংগ্রেস গদি হারালো তিন দশক পর। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর পুরসভাও হাতছাড়া হল তাদের। আগে এই পুরসভা ছিল কংগ্রেসের দখলে। গত পুরভোটে ২৬টি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছিল মাত্র ২টি ওয়ার্ড। এবার ছবিটা সম্পূর্ণ আলাদা। মোট ২৮টি ওয়ার্ডে বিশিষ্ট বহরমপুর পুরসভায় তৃণমূল এককভাবে জিতে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২২টি ওয়ার্ড দখল করেছে তারা।
এরপরই কটাক্ষের সুরে অধীর বলেন, ”২৮টা আসনেই জয় পেতে পারত তৃণমূল। কংগ্রেসের যে ৬ জন জিতেছেন, তাঁদের সাফল্য অক্সিজেন ছাড়া এভারেস্টে চড়ার সমান।” জঙ্গিপুর, বেলডাঙা, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ, ধুলিয়ান, কান্দি, মুর্শিদাবাদ পুরসভা তৃণমূলের দখলে। এগুলির কোথাও কোথাও কংগ্রেস ১টি ওয়ার্ডেও জিততে পারেনি। তুলনায় ফল ভাল হয়েছে ধুলিয়ানে। ২১টি ওয়ার্ডে কংগ্রেসের জয় মিলেছে ৭টি পুরসভায় জয় মিলেছে। আর বেলডাঙা ত্রিশঙ্কু। তৃণমূলের উপর ক্ষোভ উগ্রে অধীরের মন্তব্য, ”মানুষের উপর ভরসা নেই তৃণমূলের। গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কংগ্রেস প্রার্থীদের ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়েছে তৃণমূল।”