নিজস্ব সংবাদদাতা : শিলিগুড়ি পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এবার প্রার্থী হয়েছেন অশোক ভট্টাচার্য। তবে তিনি ভোটার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে। এদিন সকাল গড়াতেই ওয়ার্ডের নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দিতে আসেন অশোকবাবু। তার আগে বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী রত্না ভট্টাচার্যের ছবিতে মালা দেন। ভোট দিয়ে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে আবেগপ্রবন হয়ে কেঁদে ফেললেন পোড়খাওয়া বাম নেতা।
সংবাদমাধ্যমে বলেন, এই প্রথম স্ত্রী রত্নাকে ছাড়া ভোট দিলাম একা একা। টানা ৪১ বছর লড়াইয়ের সঙ্গী ছিল। তাই বেশ খারাপ লাগছে। প্রয়াত স্ত্রীর ছবিতে মালা দিয়ে ভোট দিতে এসেছি। ও থাকলে খুব ভালো লাগত। তৃণমূলের দাপটে রাজ্যে একের পর এক পুরসভা যখন বিরোধীদের হাতছাড়া হয়েছে, শিলিগুড়িতে পাল্টা দাপট আর কৌশলী মহাজোটে বামেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রেখেছিলেন তিনি। সেই অশোক ভট্টাচার্যই শনিবার কেঁদে ফেললেন ভোট দিতে গিয়ে। বছরের পর বছর তিনি ভোট দিতে এসেছেন সস্ত্রীক। গত বিধানসভা ভোটেও সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী রত্না ভট্টাচার্য।
কিন্তু এ বার নেই। গত অক্টোবরে প্রয়াত হয়েছেন রত্না। ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে পুরনো কথা মনে পড়ে গেল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং বিদায়ী মেয়রের। চোখের জল আটকে রাখতে পারেননি অশোক। গত বিধানসভা ভোটে ‘শিষ্য’ শঙ্করের কাছে হারের পর, ভোট রাজনীতি থেকে ‘সন্ন্যাস’ ঘোষণা করেছিলেন অশোক। কিন্তু বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের এক ফোনে পুরভোটে আবারও তিনি ভোটের ময়দানে। ৭২ বছর বয়সে প্রচার করতে চষে বেড়িয়েছেন শিলিগুড়ি।