নিজস্ব সংবাদদাতা : ‘‘গোটাটা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কালীঘাট থেকে হচ্ছে। উনি হেরে গিয়েছেন সেই জ্বালা-যন্ত্রণা অধিকারীদের হারিয়ে দিয়ে মেটাবেন।’’ভোটের দিন এভাবেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন শিশির অধিকারী। শনিবারই মারাত্মক অভিযোগ উঠেছিল শিশির অধিকারীর বিরুদ্ধে। শাসকদলের দাবি ছিল তৃণমূল নেতাদের ফোন করে পুরভোটে বিজেপি প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার কথা বলছেন বর্ষীয়ান এই নেতা।
এনিয়ে একটি অডিয়ো ক্লিপও ভাইরাল হয়। সেখানে নিত্যানন্দ মাইতি নামে কাঁথি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক নেতাকে শিশিরবাবু বলছেন, শুভেন্দুর প্রার্থীকে একটু দেখে দিতে। রবিবার ভোট দিয়ে বেরিয়ে শিশিরবাবু বলেন ‘দুর্দান্ত’ ভোট হচ্ছে। সৌমেন্দুকে আটকে দেওয়া হয়েছে। কারণ তাকে দেখলে মানুষ তাকেই ভোট দেবে। ওরা জেলাশাসকের নির্দেশ মানছে না। কাঁথি কলেজ, কাঁথি পুরসভা ও কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ক এখানকার মানুষ তৈরি করেছেন।
নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হারের পর গত ৯ মাস ধরে প্রশাসন ও বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টকে দিয়ে অত্যাচার করা হয়েছে। অকল্পনীয় অত্যাচার করা হয়েছে। পুলিস মিউনিশিপ্যালিটিতে, ব্যাঙ্কে জীবনে যেত না। এই কলেজের প্ল্য়ান শিট তুলে নিয়ে চলে গিয়েছে আইসি। এসব করা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে। নন্দীগ্রামের হারের পর বিভিন্ন ধরনের জ্বালা যন্ত্রণা আছে তো।
রবিবার কাঁথির প্রভাত কুমার কলেজে ভোট দিয়ে বেরোনোর সময় শিশির অভিযোগ করেন, বুথ জ্যাম করার চেষ্টা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমার কাছে যা খবর ১১টা বুথ লুঠ হয়েছে। এটা নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজয়ের জের। পর্যবেক্ষকদের কোনও ভূমিকা নেই। ৫০-৬০ বছর আমি ভোট দেখেছি। এ ভোট জীবনে দেখিনি।
নির্বাচন কমিশনে আমরা অভিযোগ করব।’’পুরভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে শিশিরের আরও বক্তব্য, ‘‘পুলিশ না থাকলে ছাপ্পা কী করে হবে? গোটাটা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কালীঘাট থেকে হচ্ছে। উনি হেরে গিয়েছেন। জ্বালা-যন্ত্রণা অধিকারীদের হারিয়ে দিয়ে মেটাবেন। শহরটা ত্রাসের রাজত্ব হয়েছে।’’