পরকীয়া প্রেম যেন বাঁধনহীন হয়ে ওঠে গোপনেই। কারও সংসার ভাঙে তো কারও মন। একাধিক সময়ে বর্তমান সমাজে আনাচে কানাচে শোনা যায় পরকীয়ার গল্প। কিন্তু, জানেন কী পরকীয়ার রকম ?
আত্মস্থ হওয়ার উপলব্ধি : এরকম হামেশাই হয় যে, পার্টনারের পাশে বসে থেকেও মানুষ আনমনে এমন কারও দিকে বয়ে যায়, যেন কবে থেকে চেনা। যেন একেই খুঁজছিল মন। পরকীয়ার এই অবস্থা আদতে মনের অপূর্ণ ইচ্ছে বা ফ্যান্টাসি থেকেই তৈরি। হঠাৎ কোনও রাতে: এই পরকীয়ার গল্প অত্যন্ত ছোট্ট এবং সোজাসাপটা। মন চায় না, ভালবাসাও চায় না। একে অপরের প্রতি কিছুক্ষণের দুর্বলতা থেকেই এই সম্পর্কের জন্ম। এবং ওই এক রাতেই শেষ অধিকাংশ ক্ষেত্রে।
মনের টানে: বন্ধুত্বের খামোকা খেয়াল দিয়েই শুরু হয় এই সম্পর্ক। হতে পারে তা প্রাক্তনের সঙ্গে একটু বাক্য বিনিময়। কিংবা পুরনো কোনও স্কুল বন্ধুর সঙ্গে যা খুশি তাই বলতে পারার স্বাধীনতা। এই নিখাদ বন্ধুত্বই গড়ায় প্রেমে। বৈবাহিক জীবনে যত না পাওয়ার গল্প, সব ভাগ করে নিতে চাওয়া থেকে যে রসায়ন গড়ে ওঠে, সেই পরকীয়া আদতে মনের টানেই।
নিতান্তই শারীরিক: এই ধরনের পরকীয়ায় মত্ত যাঁরা, একজন সঙ্গী পেয়ে খুশি নন মোটে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদের যৌন চাহিদা আদতে বিকারগ্রস্ত। এরা কোনও সঙ্গীর থেকেই প্রেমের পরিপূর্ণতা অর্জন করে নিতে পারেন না।
সাইবার অ্যাফেয়ার: এই প্রেমেরই ট্রেন্ড এখন। মুখোশ পরে অন্য মানুষ সেজে উল্টোদিকের মানুষটিকে মিথ্যে পরিচয় দিয়ে, মন ভুলিয়ে, তাঁর সঙ্গে প্রেম। এই প্রেম মানসিক, দৈহিক এবং প্রতারণমূলকও হতে পারে।
চিরপ্রেমিক: যতই প্রেম থাক এদের জীবনে, অভাব মেটে না। সব সময় যে এই পরকীয়া দৈহিক হয় তা নয়। বৈবাহিক সম্পর্কে থেকেও অনেক মানুষই পার্টনারের মধ্যে সেই সৃজন গুণ, চটক ভাব, খুঁজে পান না। সেই খান থেকেই এই প্রেমের প্রকাশ। নিঃসন্দেহে এই প্রেম কোনও পর্যায়ে দৈহিক হয়ে উঠতে পারে কোনও অপরাধ বোধ ছাড়াই।
প্রতিহিংসা জাত: সব থেকে ভয়ংকর পরকীয়ার প্রকার এটি। একজনের মনে জ্বালা ধরাতেই অন্য একজনের সঙ্গে প্রেমে মেতে ওঠাই এই ধরনের পরকীয়ার উদ্দেশ্য। আসলে তৃতীয় ব্যাক্তিকে এঁরা বোঝাতে চান, যে তিনি সকলের অভীপ্স।