নিজস্ব প্রতিবেদন : মাঙ্কিপক্স আরেকটি ভাইরাস যা বিশ্ববাসীর বুকে ভয়ের কম্পন ধরিয়েছে।ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের কাছে, এই দাবি করা হয়েছে যে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসটি রোগীর বীর্যে পাওয়া যায়।এই দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে তারা গবেষণা শুরু করেছে।মূল লক্ষ্য হলো মাঙ্কিপক্স ভাইরাস আদৌ কি যৌনবাহিত রোগ কিনা তা খুঁজে বের করা।এই তথ্যটি জানা গেছে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর আধিকারিকের মারফত।



যাই হোক সি.ডি.সির পক্ষ থেকে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, এই সংক্রমণটি মূলত শারীরিক ভাবে কাছাকাছি আসার ফলে সংক্রমিত হয়।মাঙ্কিপক্স জনিত সংক্রমণটি মূলত ইউরোপীয় দেশগুলিতে প্রচুর পরিমাণে দেখা যাচ্ছে।বিশেষ করে সেই সমস্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে যারা ঘনিষ্ঠভাবে একে ওপরের সাথে মিলিত হয়ে থাকেন।যা সম্প্রতি ইতালি এবং জার্মানির বিজ্ঞানীরা গবেষণায় আবিষ্কার করেছেন। কিছু সংখ্যক মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত রোগীদের দেহের বীর্যে ভাইরাল ডি.এন.এর স্যাম্পেল পাওয়া গেছে।পরীক্ষাগারে বীর্যনমুনার পরীক্ষার ফল থেকে বিজ্ঞানীরা কিছু সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।একজন রোগীর বীর্যে মাঙ্কিপক্সের যে জীবানু থাকে তা আরেকজন সুস্থ মানুষকে শুধুমাত্র সংক্রমিত করে তাই না বরং ইহার কোষবিভাজন বহু গুনহারে বৃদ্ধি পায়। মে মাসের প্রথম দিকে,৩০টি দেশেরও বেশি জায়গা থেকে প্রায় ১,৩০০ এর বেশি কেস ইতিমধ্যে সামনে এসেছে।বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই মূলত যৌনমিলনের ফলে সংক্রমনটি হয়েছে।আফ্রিকা মহাদেশ বাদে বাকি ইউরোপীয় দেশগুলি থেকে এই সংক্রমের তথ্য মাঝে মাঝে খবরের শিরোনামে উঠে আসে।


ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন, অবিলম্বে,স্বাস্থ্য কর্মীদের এবং যারা শারীরিক ভাবে মিলিত হয় তাদের টিকাকরণ শুরু করেছে।তবে মজুত ভ্যাকসিনের ঘাটতি আরেকটি দুশ্চিন্তার বিষয়।তবে ভাইরাল ডি.এন.এর উপস্থিতি মানে এই না যে মাঙ্কিপক্স যৌনমিলন বাহিত রোগ।এইচ.আই.ভি, সিফিলিস এর মতো রোগও প্যাথোজেনের কারণে হয়ে থাকে। যার কারণ যৌনমিলন এবং অন্যান্য শারীরিক তরল পদার্থের স্থানান্তরণ।বীর্যের নমুনাতে ভাইরাল ডি.এন.এর মধ্যে জিকা ভাইরাস সহ আরো অনেক ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।তবে এটি এখনো প্রমাণের অপেক্ষায় যে জেনেটিক পদার্থের উপস্থিতিই কি যৌনমিলনসংক্রাত নানা রোগ বহনের কারণ কিনা।

