গরম পড়লেই মাথায় চুলকানি বাড়ে, মুঠো মুঠো চুল ওঠে – এই সমস্যা অনেকেরই। গরম পড়তেই ত্বকের টুকটাক সমস্যা দেখা দিয়েছে, স্ক্যাল্পেও পড়েছে এর খারাপ প্রভাব। রমে স্ক্যাল্প অতিরিক্ত ঘামতে শুরু করে। ফলে চুল একবেলাতেই আঠা আঠা হয়ে যায়। স্ক্যাল্পে চুলকানি-ব়্যাশ দেখা দেয়। চুলের খুবই ক্ষতি হয়। তাই গরমে চুলের একটু বিশেষভাবেই যত্ন করা প্রয়োজন।
গরমকালে চুলের যত্ন কেমন হবে, জেনে নিন, কী কী টিপস আপনাকে মেনে চলতে হবে ?
সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মিতে ত্বকেরও যেমন ক্ষতি হয়, একইভাবে চুলেরও ক্ষতি হতে পারে। তাই সেদিকে নজর রাখুন। সান প্রোটেক্টিং সিরাম বা সানব্লক ক্রিম লাগিয়ে নিন চুলে। তারপরই রোদে বেরোন। মনে রাখবেন, মেঘলা দিনেও কিন্তু চুলে সানব্লক লাগাতে হবে। গরমকালে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ এতটাই বেশি থাকে যে, মাথা ঘামতে শুরু করে। চুলের গোড়ায় ঘামে ভিজে যায়। এই সময়ে রাস্তার ধুলো-ময়লা স্ক্যাল্পে আরও বেশি বসে। ফলে স্ক্যাল্প নোংরা হয়। অপরিষ্কার স্ক্যাল্প চুলের ক্ষতি করে। চুল ঝরে যেতে পারে। শ্যাম্পু করুন নিয়মিত।
শ্যাম্পু করার পরে চুলে ময়শ্চারাইজিং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এটি কিন্তু কখনও মিস করবেন না। গরমকালে চুল রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে, চিটচিটে হতে পারে। সামান্য টান পড়লেই গোড়া থেকে চুল উঠে আসতে পারে। এই সমস্যা সমাধানের জন্যে অবশ্যই শ্যাম্পু করার পরে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। ময়শ্চরাইজিং কন্ডিশনার চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ২ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন চুল।
গরমকালে যতটা সম্ভব হিটিং এড়িয়ে চলুন। এই ধরনের টুল চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা টেনে নেয়। ফলে চুল রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে ওঠে। এতটাই কোমল হয়ে যায় যে, সামান্য চাপ পড়লে বা টান লাগলে ভেঙে যেতে পারে। এই জন্যেই অতিরিক্ত পরিমাণে চুল উঠতে থাকে। হেয়ার ড্রায়ার, হেয়ার স্ট্রেটনার, কার্লিং আয়রন খুব প্রয়োজন না হলে ব্যবহার না করাই ভালো। চুল ভালো রাখার জন্যে দৈনিক যত্ন যেমন প্রয়োজন, গরমে কিছু বিশেষ যত্নেরও প্রয়োজন। তাই প্রতি মাসে অন্তত একবার হেয়ার স্পা করুন। সপ্তাহে একদিন প্রোটিন হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন। উপকার পাবেন।