24 C
Kolkata

Anubrata Mondal: কোটি টাকার মালিক কেষ্টর রাঁধুনি !

দিল্লিতে ED দফতরে হাজিরা দিলেন অনুব্রত মণ্ডলের রাঁধুনি বিজয় রজক। এই ব্যক্তিকে আগেই তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই মতো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে হাজিরা দিলেন তিনি। ED সূত্রে খবর, গোরু পাচারের টাকার লেনদেনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত বিজয় রজক। তাঁর কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। বীরভূমের একটি সরকারি কলেজে গত তিন বছর ধরে অশিক্ষক কর্মচারি হিসেবে কাজ করছেন বিজয় রজক। লাভপুরের ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম শম্ভুনাথ কলেজে।

যদিও ED-র গোয়েন্দাদের দাবি, ওই কলেজে চাকরি পাওয়ার আগে থেকেই বীরভূম তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। বোলপুরে কালিকাপুরে তাঁর পৈত্রিক বাড়ি রয়েছে। প্রসঙ্গত, ওই ওয়ার্ডেই অনুব্রত মণ্ডলেরও বাড়ি রয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সূত্রে খবর, ২০১২ থেকে অনুব্রতর বাড়িতে রাঁধুনির কাজ শুরু করেন বিজয়। পরবর্তীকালে তাঁকে নিজের Facebook পেজ চালানোর দায়িত্ব দেন ‘কেষ্ট’। শুধু তাই নয়, Facebook পেজে ভালো ছবি পোস্টের জন্য বিজয়কে ক্যামেরাও কিনে দিয়েছিলেন অনুব্রত। ক্যামেরা হাতে পাওয়ার পর থেকেই কেষ্টর ছায়াসঙ্গী হয়ে ওঠেন তিনি।

আরও পড়ুন:  Student Missing:'আমি আর বাড়ি ফিরব না' লিখে বাড়ি ছাড়লেন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

অনুব্রতর সমস্ত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ছবি নিয়মিত লেন্সবন্দি করতেন বিজয়। পরে তাঁর হাত ঘুরেই সেই ছবি পোস্ট হত সোশাল মিডিয়ার পেজে। গত বছরের জন্মাষ্টমীর দিন গোরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর চলতি বছরের ৭ মার্চ তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে ED হেফাজতে রয়েছেন কেষ্ট। ৭ মার্চ আসানসোল সংশোধানাগার থেকে কলকাতা আসার পথে শক্তিগড়ের একটি খাবারের দোকানে প্রাতঃরাশ সারেন অনুব্রত। সেখানে পুলিশি ঘেরাটোপে থাকা কেষ্টকে প্রাতঃরাশের ফাঁকেই বেশ কয়েকজনের সঙ্গে বৈঠক সারতে দেখা যায়।

সেই ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র নেতা কৃপাময় ঘোষ, অনুব্রত কন্যা সুকণ্যার গাড়ির চালক তুফান মির্ধা ও বিজয় রজকের নাম জড়ায়। এর পরই ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে তাঁকে দিল্লি আসতে বলেন ED-র গোয়েন্দারা। প্রসঙ্গত, এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের হিসেব রক্ষক মণীশ কোঠারি ও দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এই মামলায় অনুব্রত কন্যা সুকণ্যাকে দ্বিতীয়বার সমন পাঠিয়েছেন তাঁরা। এছাড়াও মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনকে ২ মার্চের মধ্যে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছে ED। তলব করা হয়েছে সূতির প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস ও উত্তর ২৪ পরগনার এক বিধায়ককেও।

আরও পড়ুন:  Abhishek Banerjee: দুর্নীতি করলে শাস্তি হোক, কিন্তু বেছে বেছে ধরলে চলবে না: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

Featured article

%d bloggers like this: