শ্রাবণী পাল: অভিনয় থেকে রাজনীতি। বিধানসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফল হয়নি। বিজেপি ছাড়বেন বলে হিড়িকও উঠেছিল। দল ভরসা রাখছে রুদ্রনীল ঘোষের উপর। বিজেপির সংস্কৃতি আহ্বায়ক পদে বসেছেন তিনি। কী-খবরের মুখোমুখি হয়ে নিজের অনুভূতি ভাগ করে নিলেন রুদ্রনীল। (মৃদু হাসি) ‘যে বিষয়ে আমার যতটুকু জ্ঞান, মেধা রয়েছে তারই দায়িত্ব পেয়েছি। দলের কাছে কৃতজ্ঞ। পশ্চিমবঙ্গ নাকি ভারতের সংস্কৃতির রাজধানী। এখানেই দেখি শিল্পী বা শিল্পপ্রিয় মানুষদের নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। শাসক দলের ঝাণ্ডা হাতে না নিলেই কোণঠাসা হয়ে যেতে হবে।’ তাঁর মতে, এরাজ্যের নিজস্ব কিছু শিল্পও রয়েছে, যেগুলি পিছিয়ে পড়ছে। সরকারি হস্তক্ষেপে অন্য মাত্রা পেতে পারত, কিন্তু তা আর হয়নি। রুদ্রবাবু বলেন, ‘ছৌ, মাচা শিল্পী, ছোট ছোট যাত্রাদল- এরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকছে না বলে সরকারি অনুদান থেকেও বাদ পড়ছে। কেন্দ্র সরকারের দেওয়া টাকা থেকেও বিরত রাখা হচ্ছে। লামা, কাঞ্চনা এঁরাও রয়েছেন একাধিক দায়িত্বে। মিলে মিশেই সমস্যাগুলো মেটাব আমরা।’

রুদ্রনীলের খুব কাছের বন্ধু পরিচালক-বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী তৃণমূলের সাংস্কৃতিক সেলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তাঁর ভূমিকাকে কীভাবে দেখছেন তিনি? তথাগত রায় এবং সৌগত রায়ের উদাহরণ টেনে রুদ্র বলেন, ‘ওঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুব ভালো। আমার বিশ্বাস, রাজ কোনওদিন এমন কিছু করবে না যা মানুষের ক্ষতি করে। আমরা আগে শিল্পী, তার পর অন্যকিছু। ও অনেককিছু করার চেষ্টা করে শিল্পের জন্য। কিন্তু বাধা পায়। আসলে ওর দলটাই হল সমস্যা। ভালো করতে চাইলেও বাধা পাচ্ছে। জানি না কতদূর কী করতে পারবে। মানুষের ভালোর জন্য যদি ওঁর সাহায্য আমার নিতে হয়, আমি রাজি। রাজনৈতিক জেদের কারণে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ক্ষতি কোনওদিনই করব না।’