নয়াদিল্লি: জল্পনার অবসান। কংগ্রেসে যাচ্ছেন না প্রশান্ত কিশোর। নিজেই সেকথা জানালন ভোট কুশলী। দিনের পর দিন মিটিং করেও ফল ইতিবাচক হল না কংগ্রেসের। রণদীপ সুরজেওয়ালা ট্যুইটারে লিখে জানান, ”প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে প্রেজেন্টেশন ও আলোচনা হয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি এমপাওয়ার্ড অ্যাকশন গ্রুপ ২০২৪ তৈরি করেছেন। ওঁকে দলে যোগদানের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। উনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। দলের জন্য যে পরামর্শ দিয়েছেন, তাকে স্বাগত জানাচ্ছি। লক্ষ্য ২০২৪। তার আগেই রয়েছে গুজরাত নির্বাচন। পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফল দেখে শিক্ষা হয়েছে কংগ্রেসের। দুই রাজ্যের উপনির্বাচনে মানুষ ভরসা রেখেছে। এবার সেই ভরসা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কংগ্রেস। প্রশান্ত কিশোরকে দলে আনতে একের পর এক বৈঠক চলেছে হাত শিবিরের। তিন দিনে দু’বার বৈঠকও করেছেন সোনিয়া গান্ধি। তবে ফলপ্রসূ হল না। প্রশান্ত কিশোর নিজে জানিয়েছেন, ”আমি কংগ্রেসের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি। তাঁরা বলেছিলেন, দলের এমপাওয়ার্ড অ্যাকশন গ্রুপ এবং নির্বাচনের দায়িত্ব নিতে। কংগ্রেসের আমার থেকেও বেশি দরকার দলীয় নেতাদের দায়িত্ব পালন। মূল থেকে দলটার উচিত শক্ত হওয়া।
বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট করা যে ভুল হয়েছিল, তা প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এবারও যেন তার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই পরামর্শই দিয়েছেন পিকে। তিনি বলেছেন, বাম নয় তৃণমূলের সঙ্গে চলা উচিত কংগ্রেসের। এই ভোটকুশলীর উপর নির্ভর করে ছিল দলটা। তবে পরামর্শ দিয়ে আর দলের সঙ্গে যুক্ত হতে চাননি পিকে। তাঁর দেওয়া পরামর্শ মানা হবে বলে জানিয়েছে কংগ্রেস। আগের বৈঠকে তাঁর মতের সঙ্গে সহমত হয়েছিলেন রাহুল গান্ধি। যদিও পিকে কংরেসে যাবেন না, এতে নিশ্চিত ছিলেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডির এতে ‘না’ আগে থেকেই ছিল। এককথায় প্রতিদ্বন্দ্বী দল হিসেবে মমতা পিকে-কে ছাড়তে চাননি। যদিও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বিরোধী জোট বাঁধার কথা উঠেছিল। তবে বাস্তবায়ন হয়নি। তাই এখন ওই দলের জন্যে কোনও ধরনের সহমর্মিতাই নয়।