নিজস্ব প্রতিবেদন: তিনিই হলেন দেশের নায়ক,আবার তিনিই হলেন দশের নায়ক। তার নির্ভেজাল স্বার্থত্যাগের জন্যই প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে আজ সকলে স্বাধীন। কারণ তিনিই হলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। শুধুমাত্র দেশমাতাকে স্বাধীন করতে নিজের মাকে ছেড়ে,নিজের বাড়ি ছেড়ে সকলকে ছেড়ে চিরতরে দেশের জন্য নিজেকে উজাড় করেছিলেন দেশবাসীর সুভাষ। দেশকে স্বাধীন করতে গিয়ে চির অমরই হয়ে রয়ে গেলেন সে। ঘরে না ফিরলেও বারেবারে পর্দায় ফিরেছেন সে।

ছেলেবেলা থেকেই বিদেশীদের বিরুদ্ধে চারণ করে এসেছেন সুভাষ। কিভাবে দেশের মানুষকে তাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়া যায় কতই না মিছিল মিটিং করেছিলেন সুভাষ। ব্রিটিশ পুলিশদের তারা খেয়ে কতবার গা ঢাকা দিয়েছিলেন সে। কতবারই না হাজতে গিয়েছিলেন সুভাষ। গা ঢাকা দিয়ে পালিয়েও গিয়েছিলেন সে। যদিও পড়াশোনা শেষ করে অল্পদিনের মধ্যেই সুভাষচন্দ্র বসু জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা হয়ে উঠেছিলেন। দুবার কংগ্রেসের সভাপতিও নির্বাচিত হন। এরপর একবার কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন সুভাষ। ইংরেজ সরকার তাঁকে বাড়িতে নজরবন্দি করে রেখেছিল। দেশকে স্বাধীন করতে অন্তর্ধানের দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ২০০৬ সালে মুখার্জি কমিশন প্রমাণ করে ওই বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়নি। কিন্তু সেই মানুষটা আর ফেরে না ঘরে। কিন্তু আজীবন তিনি থেকে গেলেন সিনেমার নানান পাতায়।

২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিন। টিভির পর্দা খুললেই আজ সুভাষই সুভাষ। সালটা ১৯৫৫। পর্দায় হাজির হয় নেতাজির নতুন ছবি সমাধি। নেতাজির অন্তর্ধানের দশ বছর পর মুক্তি পায় এই ছবি। নেতাজির নানান জীবনের দিক ফুটে উঠেছিল এই ছবিতে। সম্প্রতি,২০১১ সালে মুক্তি পায় নেতাজির ছবি ‘ আমি সুভাষ বলছি ‘। বাঙালি তথা দর্শকদের মনে জায়গা করে নেয় এই ছবি। পাশাপাশি সুভাষকে নিয়ে আরও একরাশ ছবি আজও দর্শকমনে জায়গা করে নিয়েছে।
