21 C
Kolkata

তিলোত্তমায় পা রাখতেই সংবর্ধনা দুই বঙ্গ কন্যাকে

বিশ্বকাপের প্রথম সংস্করণেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা দল। ঘরে ফিরলেন বিশ্বকাপ জয়ী বাংলার দুই মেয়ে তিতাস সাধু ও হৃষিতা বসু। সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ থাকায় আমেদাবাদ থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকা চলে গিয়েছেন বাংলার অপর ক্রিকেটার রিচা ঘোষ। কলকাতা বিমানবন্দরে পা রাখতেই পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করে নেওয়া হল বাংলার দুই ক্রিকেটারকে। অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ভারতের মেয়েরা। প্রথম বাঙালি হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে ম্যাচের সেরা হয়েছেন তিতাস সাধু (Titas Sadhu)। চুঁচুড়ার তিতাস ফাইনালে দুরন্ত বোলিং করেন। ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে তুলে নেন ২ উইকেট। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং মেরুদণ্ড একাই ভেঙে দেয় চুঁচুড়ার তিতাস। ইংল্যান্ডকে হেলায় হারিয়ে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন বয় ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল।

বাংলার দুই মেয়ে তিতাস সাধু আর হৃষিতা বসু বিমানবন্দরে নামতেই ফুলে মালায় তাঁদের বরণ করে নেওয়া হয়। সংবর্ধনায় ভরিয়ে দেওয়া হয় দুই বঙ্গতনয়াকে। সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় ও রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস হাজির ছিলেন বিমানবন্দরে। রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বিমানবন্দরে সংবর্ধনা দেন দুই বিশ্বজয়ীকে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটি থেকে অসামান্য কৃতিত্ব গড়ে শহরে ফিরেছেন বাংলার দুই মেয়ে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আগেই ঘোষণা হয়েছিল, বাংলার বিশ্বজয়ী ক্রিকেটারদের প্রত্যেককে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে। এ ছাড়া অনূর্ধ্ব-১৯ তিন ক্রিকেটারকে সংবর্ধিত করবে সিএবিও।

আরও পড়ুন:  Durnibar Honeymoon : মধুচন্দ্রিমায় মোহর - দুর্নিবার ! 'সিক্রেট' ফাঁস

ফাইনালের সেরা তিতাস সাধু (Titas Sadhu) কলকাতায় নামার পর বলেন, ‘বিশ্বকাপ জেতাটা আমাদের মেয়েদের জন্য খুব দরকার ছিল। সবাই খুব খুশি। পরবর্তী লক্ষ্য আইপিএল আর জাতীয় দল। তবে ফাইনালে নিজের পারফরমেন্স নিয়ে কিছু ভাবিনি। টিম হিসেবেই মাঠে নেমেছিলাম। দলগত সাফল্যেই বিশ্বসেরা হয়েছি।’ গতকাল আমেদাবাদে সচিন তেন্ডুলকর সংবর্ধিত করেন তিতাসদের। সে প্রসঙ্গে বাংলার পেসার বলেন, ‘সচিন স্যার বলেন, এই সফর থেকে আমরা যেটা শিখেছি সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে সেটাকে হাতিয়ার করেই এগোতে।’

হৃষিতা বসু (Hrishita Basu) বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ছিল আমরা চ্যাম্পিয়ন হব। ইংল্যান্ডকে কম রানে আটকে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য ছিল। সিনিয়র পর্যায়ে বিশ্বকাপ জেতা এখনও বাকি রয়েছে। সেটা আমাদের জিততে হবে।’ হাওড়ার উইকেটকিপার হৃষিতার আদর্শ মহেন্দ্র সিং ধোনি। একই সঙ্গে মিতালি রাজকেও অনুসরণ করেন তিনি। ২০২৫ সালে সিনিয়র দলের হয়ে বিশ্বকাপ জিততে চান হৃষিতা।

আরও পড়ুন:  ATM Guide: ভুলেও ATM-এ গিয়ে করবেন না এই কাজ

Featured article

%d bloggers like this: