নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রত্যাশিত ফলাফল এটিকে মোহনবাগানের। কিন্তু নায়ক হয়ে গেলেন বাংলার ছেলে কিয়ান নাসিরি। যদিও একটা সময় অবধি তুল্যমূল্য লড়াই করেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল কিন্তু তাও শেষ বাজারের সবজি দিয়ে যে সুস্বাদু রান্না হয় না তা আবারও প্রমাণিত হলে।প্রথমার্ধে দুর্দান্ত লড়াই করল ইস্টবেঙ্গল। খেলা শুরুর প্রথম ১৫ মিনিট ছিল একে অপরকে দেখে নেওয়ার পালা। তারপরে দু প্রান্ত থেকে একের পর এক আক্রমণে উঠতে থাকে এটিকে মোহনবাগান। এক দিকে লিস্টন অন্যদিকে মনবীর ক্রমাগত আক্রমন করে চলেছিল। কিন্তু মারিও অন্য চিন্তা ভাবনা নিয়ে নেমেছিলেন। ওপরে মার্সেলো আর পেরিসোভিচকে রেখে দিয়ে পুরো টিমকে নিচে নামিয়ে দিলেন ডিফেন্সে। সামনে পিভট হিসেবে ব্যবহার করলেন সৌরভ ও সিডয়েলকে।যার ফলে বুমস যে মাঝখান দিয়ে খেলাটা খেলেন সেটা খেলতে পারলেন না। এসসি ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সও আদিলের নেতৃত্বে দুর্দান্ত খেলেন। যার ফলে এটিকে মোহনবাগানের আক্রমন লাল হলুদের পেনাল্টি বক্সের বাইরে শেষ হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই প্রতি আক্রমনে মহেশ এবং মার্সেলো সহজতম সুযোগটা পেয়ে গেছিল। কিন্তু দুজনের শটই একটুর জন্য বাইরে চলে যায়।দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল করার জন্য ঝাপিয়ে পরে এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু একের পর এক আক্রমন বিফলে যেতে থাকে লাল হলুদ ডিফেন্সের বদান্যতায়। ঠিক এই সময়েই ম্যাচের বিপরীতে গোল করে চলে যায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। কর্নার থেকে গোল করে সিডয়েল। গোল খাওয়ার পরই আরও আক্রমণে আসে এটিকে মোহনবাগান। এই সময় মাস্টারস্ট্রোকটি খেলেন সবুজ মেরুন কোচ ফেরান্দো। নামিয়ে দেন নবাগত কিয়ান নাসিরিকে । সেখানেই খেলা জিতে নেন তিনি। হ্যাটট্রিক করেন তিনি। সেই চাপেই শেষ পর্যন্ত ভেঙে পড়ে লাল হলুদের ডিফেন্স। সেখান থেকে এসসি ইস্টবেঙ্গল আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।মাঝে ডেভিড উইলিয়ামস পেনাল্টি না মিস করলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। লাল হলুদও কিছু সুযোগ পায় কিন্তু তারা সেসব হেলায় হারায়। সবুজ মেরুনও বেশ কয়েকটি সুযোগ পায়, সেগুলো গোল হলে লাল হলুদের লজ্জা আরও বাড়ত।