নিজস্ব প্রতিবেদন: জাতীয় দলের জার্সিতে শতাধিক ম্যাচ খেলে ফেলেছেন ব্রাজিল রক্ষণের কাণ্ডারি থিয়াগো সিলভা। ২০০৮ সালে ব্রাজিল সিনিয়র দলের জার্সিতে আত্মপ্রকাশ।২০১০ বিশ্বকাপের মূল দলে জায়গা পেলেও তাঁকে শুরুর একাদশে রাখেননি তত্কালীন কোচ কার্লোস দুঙ্গা। এর কয়েক বছর পরই ব্রাজিলের অধিনায়ক নির্বাচিত হন থিয়াগো। ২০১৩ সালে তাঁর নেতৃত্বেই কনফেডারেশন কাপ জেতে ব্রাজিল। ২০১৪ সালে তারুণ্যে ভরপুর দল নিয়ে দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলতে নামেন তিনি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেবার সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ ব্যবধানে লজ্জাজনক হারের মুখ দেখতে হয় ব্রাজিলকে। যদিও কার্ড সমস্যার কারণে সেই ম্যাচে মাঠে ছিলেন না থিয়াগো। সেদিন তিনি খেললে এতবড় হারের সম্মুখীন হতে হতো না ব্রাজিলকে। একথা এক বাক্যেই মেনে নেওয়া যায়। কাতার নিয়ে টানা তিনটি বিশ্বকাপে তাঁর নেতৃত্বে খেলছে সেলেকাও ব্রিগেড।
কেরিয়ারের সায়াহ্নে এসে এখনো সমানতালে পারফর্ম করে যাচ্ছেন থিয়াগো সিলভা। ৩৮ বছর বয়সে এসেও আগের মতই সাবলীল তিনি। কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে থিয়াগো সিলভাকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন ব্রাজিল কোচ তিতে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে প্রি কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে ফের একবার প্রথম একাদশে ফিরতে চলেছেন ব্রাজিল রক্ষণের স্তম্ভ। আর কোরিয়ার বিরিদ্ধে অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নেমেই অনন্য নজির গড়তে চলেছেন ৩৮ বছর বয়সী ডিফেন্ডার। ব্রাজিলের প্রাক্তন দুই কিংবদন্তী কাফু এবং দুঙ্গাকে স্পর্শ করতে চলেছেন সিলভা। কাফু এবং দুঙ্গা বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে ১১ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। থিয়াগো সিলভা এখনও অবধি ১০ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে সেই সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলবেন থিয়াগো সিলভা। কোরিয়ার বিরুদ্ধে জিতলে দুঙ্গা ও কাফুর রেকর্ড ভাঙার সূযোগও রয়েছে সিলভার সামনে।