সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়: দুঃসময় অব্যাহত বিরাট কোহলির। বিরাট হয়তো তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ায়ের সবচেয়ে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৯ সালে শেষবার শতরান করেছিলেন তিনি। এরপর কোনো ফরম্যাটেই সেঞ্চুরি নেই কোহলির। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দলে রাখা হয়নি প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে। সেটা বিশ্রাম, নাকি খারাপ ফর্মের কারণে বাদ, বোর্ডের তরফে তা স্পষ্ট করা হয়নি। প্রতিটা ম্যাচের আগেই মনে করা হচ্ছে, এই ম্যাচে হয়তো রান পাবেন কোহলি। তবে আদতে তেমনটা হচ্ছে না। যে খারাপ জায়গাটার মধ্যে রয়েছেন, ইনিংস শেষে সেই জায়গাতেই ফিরে যাচ্ছেন তিনি। কুঁচকির চোট সারিয়ে বৃহস্পতিবার লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে প্রথম একাদশে ফিরেছিলে বিরাট। শুরুটা ভালো করলেও সেই অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পিছনে জস বাটলারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন বিরাট। ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। এই মুহুর্তে বিশ্ব ক্রিকেটের আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছেন কিং কোহলি। তার ফর্ম নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। বিরাটের কেন বড় রান করতে পারছেন না, এটাই যেন সব খবরের শিরোনাম। একাধিক কারণ উঠে আসছে এই ব্যর্থতার প্রশ্নে।

খারাপ ফর্মের কারণে সমালোচকদের তিরে বিদ্ধ হতে হচ্ছে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে। তবে বিরাটের এই খারাপ ফর্মের মূলে কি কারণ রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। এনিয়ে দ্বিধাবিভক্ত প্রাক্তন খেলোয়াড় থেকে বিশেষজ্ঞরা। মূলত তিনটি কারণ উঠে এসেছে। একাংশের মত হঠাত্ করেই ফোকাস হারিয়ে ফেলছেন বিরাট কোহলি। সেই কারণেই ধারাবাহিকতার অভাব দেখা যাচ্ছে তাঁর খেলায়। এদিকে প্রায় প্রতি ম্যাচে একই ভুল দেখা যাচ্ছে তাঁর খেলায়। শট নির্বাচনে সেই দক্ষতা আর দেখা যাচ্ছে না। টানা খেলার ধকলই কি বিরাটকে ভোগাচ্ছে? উঠছে এমন প্রশ্নও। এছাড়াও বিরাট প্রতি ম্যাচেই অতিরিক্ত চাপ নিয়ে ফেলছেন। যার প্রভাব পড়ছে ওর খেলায়। প্রতি বলেই ও রান বের করার চেষ্টা করছে। আর এর জেরেও দ্রুত ছাড়তে হচ্ছে ক্রিজ। এক্ষেত্রে খেলার সময় মনোসংযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি ঠান্ডা মাথায় খেলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এর পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি কারণ উঠে আসছে। বিরাটের ফিটনেসে কোনও সমস্যা হচ্ছে বলে দেখে বোঝা যাচ্ছেনা। তবে আগের থেকে তাঁর রিফ্লেক্স কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আবার কারোর মতে এই মুহূর্তে বিরাটের বিশ্রামের প্রয়োজন। যা ওকে স্বমহিমায় ফিরতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন তাঁরা।