নিজস্ব সংবাদদাতা :: ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে ময়নাগুড়ি ইন্দিরা মোড় লাগোয়া এলাকায় একটি বাড়িতে থাকেন বাবুল সরকার। তিনি পেশায় কৃষক। শনিবার রাতে তাঁর স্ত্রী রান্না করতে গেলে দেখতে পান রান্নাঘরের মাটির মেঝেতে একটি সাপ ফণা তুলে রয়েছে। তার সঙ্গে বেশ কয়েকটি বাচ্চাও রয়েছে। আচমকা এমন দৃশ্য দেখে তিনি চমকে ওঠেন। চিত্কার করে ছুটে পালান ঘর থেকে। সাপের ভয়ে সারা রাত কেউ রান্নাঘরে যাননি। রবিবার বেলার দিকে রান্নাঘরে গেলে ফের একই দৃশ্য দেখতে পান তিনি। তখন তাঁরা খবর দেন ময়নাগুড়ির পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সদস্যদের। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুরো দল নিয়ে সেখানে হাজির হন ময়নাগুড়ি পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সম্পাদক নন্দু রায়। এরপর তাঁরা দুপুর নাগাদ পৌঁছে যান ওই বাড়িতে। পুরো রান্নাঘর জুড়ে সাপের ছানা ছড়িয়ে আছে অনুমান করে মাটির মেঝে খোঁড়ার কাজ শুরু করেন তাঁরা । প্রথমে বড় সাপটিকে উদ্ধার করা হয় । তখনই বেরিয়ে আসে কয়েকটি ছানা। এরপর আরও মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয় সাপের ডিম। সেগুলি নাড়াতেই ফের কয়েকটি সাপের ছানা বের হয়। এই ভাবে প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় একে একে মোট ২৩টি ছানা উদ্ধার হয় । সর্প বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এগুলো প্রতিটিই স্পেকটিক্যালড কোবরা। ভীষণ বিষধর সাপ। সবকটি সাপ সম্পূর্ণ সুস্থ আছে বলে জানা গেছে । বন দফতরকে জানিয়ে ওই সাপগুলিকে নিরাপদ স্থানে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।