22 C
Kolkata

কেশপুরের সভা থেকে মানবিকতার আত্মপ্রকাশ অভিষেকের

শনিবার কেশপুরের সভার শুরু থেকেই একেবারে অন্য মেজাজে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেশপুরের রাজনৈতিক পরিবেশ ব্যাখ্যা করে লড়াকুদের শ্রদ্ধা জানালেন তিনি। এরপর পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেশপুর থেকে জোরদার লড়াইয়ের কথা বললেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কেশপুরে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের আগমন প্রসঙ্গ তুলে অভিষেক (Abhishek Banerjee) খোঁজ করেন শেখ হোসিমুদ্দিন নামে এক ব্যক্তির। তাঁকে মঞ্চে তুলে বলেন, ”ইনি তৃণমূল করেন না। কোনও দল করেন না। এঁকে কি দেখে মনে হয় ইনি চোর, ডাকাত, দুর্নীতিগ্রস্ত ? এঁর বাড়ি দেখুন। কিন্তু আবাস যোজনায় ঘর নেননি। সামনে মেয়ের বিয়ে। এত কষ্ট করে দিন কাটাচ্ছেন, তবু আবাস যোজনার ঘর নেননি। ইনি কেশপুরে পঞ্চায়েত স্তরের মুখ। এঁরাই আমাদের সম্পদ।” এরপর তিনি বয়স্ক হোসিমুদ্দিনকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, ”আপনার চিন্তা নেই, আপনার মেয়ের বিয়ের দায়িত্ব আমার।” জানা গিয়েছে, হোসিমুদ্দিন বাসের হেল্পার। কোনওক্রমে দিন চলে।

আরও পড়ুন:  Duare Sarkar : আরও নয়া ৬টি পরিষেবা এবার দুয়ারে সরকারে। জেনে নিন কোনগুলি

এরপর স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মঞ্জু দলবেরা ও তাঁর স্বামী তথা তৃণমূলের বুথ সভাপতি অভিজিৎ দলবেরাকে তলব করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁরাও আবাস যোজনায় ঘর নেননি। অভিষেক তাঁদের মঞ্চে ডেকে নেন। তাঁদেরও ভাঙাচোরা বাড়ির ছবি দেখানো হয় মঞ্চে। এরপর অভিষেক বলেন, ”এঁদের দেখুন। এঁদের কি মনে হয় দুর্নীতিগ্রস্ত?” মঞ্জু দলবেরা স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য আর তাঁর স্বামী অভিজিৎবাবু তৃণমূলের বুথ সভাপতি। নিতান্ত সাদামাটা দম্পতি মঞ্চে দাঁড়িয়েই জানালেন, আবাস যোজনার ঘর তাঁদের দরকার নেই। সেই টাকায় ছেলেমেয়েকে পড়াবেন। শুনে অভিষেক বলেন, ”কারও উপর নির্ভর করতে হবে না। আপনাদের ধর বানিয়ে দেবে দল।”

Featured article

%d bloggers like this: