নিজস্ব প্রতিবেদন :- বগটুই কাণ্ডের রেশ এখনও কাটেনি। এখনও দগদগ করছে ক্ষত। তারই মধ্যে ফের খুন আরও এক তৃণমূল নেতা। তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকে খুনের অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী এবং সমর্থকদের বিরুদ্ধে।যদিও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
বীরভূমের মল্লারপুর থানার খোড়াশিনপুর গ্রামের ঘটনা। মৃত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের নাম কাজি নুরুল হাসান ওরফে আকাশ।জানা যাচ্ছে,বুধবার রাতে মল্লারপুর থানার পুলিশ আকাশের পরিবারকে ফোন করে জানায়, তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। খবর পেয়ে তাঁর পরিবারের লোকজন রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আসেন। সেই সময় আশঙ্কাজনক অবস্থায় কাজী নুরুল হাসান ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে ময়ূরেশ্বর এলাকার পাশাপাশি জেলার রাজনীতিতে।
পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার বিকেলে ওই তৃণমূল নেতা বাড়ি থেকে বেড়িয়ে মল্লারপুর আসেন।রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় মোবাইলে তাঁকে ফোন করেন তাঁর স্ত্রী মৌসুমি খাতুন।পরে পুলিশ কাজী নুরুল হাসানের বাড়িতে ফোন করে জানান উনি রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।হাসপাতালেই মৃত্যু হয় ওই তৃণমূল কর্মীর। এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বগটুই কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেদিকে সজাগ রয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতের স্ত্রী মৌসুমী খাতুন জানান,”পুলিশ বলেছিল দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু হাসানের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। মাথার পিছনে আঘাত করা হয়েছিল। কান আর নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। পঞ্চায়েতের ক্ষমতাদখল নিয়ে ঝামেলা চলছিল। মোশারফ, সামসের এর পিছনে রয়েছে। এলাকার বিধায়ক অভিজিত্ রায় ও জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।”