নিজস্ব প্রতিবেদন: একমাসের বেশি হয়ে গিয়েছে, এখনও জেলবন্দি ‘কেষ্ট’। শনিবারও জামিন অধরা থেকেছে অনুব্রতর। ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই পরিস্থিতির মধ্যেই আদালতে দাঁড়িয়ে দলের ও দলীয় কর্মসূচির খোঁজখবর নিয়েছেন ‘কেষ্ট’। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের কর্মী সমর্থকদের বেশ কয়েকটি পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল।
সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, কিন্তু যাঁর কথাতে বীরভূমে এক ঘাটে জল খেত বাঘে-গরুতে, তাঁকে বাদ দিয়ে কীভাবে হবে সাংগঠনিক প্রস্তুতি? চড়াম চড়াম থেকে গুড়বাতাসা দাওয়াই-সবই হিট ছিল এককালে, কিন্তু সেসবের শ্রষ্টা এখন হাজতে। অনুব্রত জেলে যাওয়ার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছিল, এই দৌর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার অবর্তমানে কেমন হবে বীরভূম জেলার পঞ্চায়েত নির্বাচন? শনিবার অবশ্য তার একটা ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন ‘কেষ্ট’। গরু পাচার মামলায় শনিবার আসানসোল আদালতের শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত। সেখান থেকেই নিজের দলীয় সমর্থকদের বার্তা দিয়েছেন পঞ্চায়েত ভোটে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য।
এদিন তিনি বলেন, ‘গ্রুপ বাজি চলবে না। চিরস্থায়ীভাবে আমি জেলে থাকবো না। একবার ফিরি, তারপর সকলকে ছেঁটে দেব। সামনে পঞ্চায়েত ভোট রয়েছে। তোমরা সবাই ভালোভাবে কাজ করো।’ বর্তমানে যখন অনুব্রতহীন বীরভূমে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কি হতে চলেছে, সে বিষয়ে জল্পনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে, সেই পরিস্থিতিতে গতকালের অনুব্রত-টনিক আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কতটা কার্যকরী হয়, সেটাই দেখার।