নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বর্ধমানের ল্যাংচা হাবের স্বপ্ন অসম্পূর্ণ। এই ল্যাংচা হাব আপাতত বন্ধ আর সেই কবি ক্ষোভ উগড়ে দিল মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার নবান্নের বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর ল্যাংচা হাবের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলেন। তার উত্তরে পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারেরা জানান অনেকে দোকান খোলেন না, তাই বন্ধ রয়েছে।এর পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “যারা দোকান খুলছে না তাদের থেকে দোকান ফিরিয়ে নেওয়া হোক। আগামী ৩০ দিন অর্থাৎ এক মাসের মধ্যে ইচ্ছুকদের মধ্যে দোকান বিলিয়ে দেওয়া হোক। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, আসলে অনেকেরই দোকানে রাস্তার উপরেই রয়েছে তাই ওরা ভিতরদিকে দোকান করতে চায় না। ওদের বল বাইরে যেমন আছে থাক তারা যেন ভিতর দ্বিতীয় দোকান খুলুক।”
উল্লেখ্য, বর্ধমান জাতীয় সড়কের পাশে বহু ল্যাংচা প্রস্তুতকারক সেখানে দোকান নিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে তা চলছে না। যদিও ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে মুখ্যমন্ত্রী আসানসোল থেকে উদ্বোধন করেছিলেন বর্ধমানের মিষ্টি হাব। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই এই প্রকল্প নুয়ে যায়। মূলত বিপণনে মারা থেকে শুরু হয় মিষ্টি হাব। বিক্রেতাদের ঝাঁপ বন্ধ করতে হয় বিক্রি-বাট্টা না থাকায়।
তবে পূর্ব বর্ধমানের জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে এই মিষ্টি হাত বাঁচানোর জন্য কম কাঠ-খড় পোড়াতে হয়নি। প্রচুর অর্থ ব্যয় এর পাশাপাশি খড়গপুর আইআইটি বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেয় তারা।এই প্রসঙ্গে প্রশাসনিক আধিকারিকের মন্তব্য, আমরা অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু শক্তিগড়ের ল্যাংচার দোকানের সাথে পাল্লা দিয়ে এই মিষ্টি হাত টিকতে পারছিল না। কারণ স্বরূপ তিনি জানান, জাতীয় সড়ক ধরে চলাচলকারি যেসব গাড়ি শক্তিগড়ে স্টপেজ দিয়েছিল ল্যাংচার স্বাদ নিতে। আর তার ফলে খরিদ্দার মিলছিল না।