নিজস্ব প্রতিবেদন: বিষ মদ কান্ড রাজ্যে নতুন কিছু নয়। আবারও সেই ঘটনার পুনরায় ঘটল বিহারে। যার জেড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, বিহারের সিওয়ানের বালা গ্রামের ভোপাতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহারাজগঞ্জ সাব ডিভিশনে ফের বিষ মদকান্ডের মতো ঘটনা প্রকাশ্যে আসলো। এই ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এছাড়াও গুরুত্বর অবস্থা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি রয়েছে ৭ জন। মৃতদের একজনের নাম জনকদেও রাম (৪০)। আর যারা বর্তমান চিকিৎসাধীন রয়েছে তারা হলেন লক্ষ্মণ রাওয়াত, সুরেন্দ্র প্রসাদ, রাজেশ প্রসাদ, রাজু মাঞ্ঝি। বয়স ২৯ থেকে ৪৩ এর মধ্যে। সূত্রের মারফত জানা গেছে গত ১৬ ডিসেম্বর সিওয়ানে যে বিষমদ কাণ্ড ঘটেছিল তার জেরে একজন পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল।
তবে এই নিয়ে জেলাশাসক অমিত কুমার পান্ডে জানিয়েছেন, ‘কমপক্ষে ১০ জনকে সিওয়ান সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় যেখানে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। দু’জনকে পাটনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (পিএমসিএইচ) নেওয়ার সময় পথে তাঁরা মারা যান।’ তবে এখনও মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ পুরো ঘটনা তদন্তে নেমেছে।
প্রসঙ্গত, বর্ধমান এরপর হাওড়াতে পান করে করার পর মৃত ৮ ব্যক্তি। এই বিষমদ কান্ডের মূল অভিযুক্তকে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত দোকান মালিক প্রতাপ কর্মকারের বিরুদ্ধে একাধিক জমিন অযোগ্য় ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃত হাওড়ারই সালকিয়ার কৈবর্ত পাড়া লেনের বাসিন্দা। তাকে দশদিনে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রতিদিন ঘুসুড়ির মালিপাঁচঘড়া থানা এলাকার গজানন বস্তিতে চোলাই মদের আসর বসে। মঙ্গলবার তার ব্যতিক্রম না ঘটায় একের পর এক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিছুজনের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। ধৃত দীর্ঘদিন ধরে এই বেআইনি কান্ডের সাথে যুক্ত ছিল। এই ঘটনার পর বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অসুস্থ ব্যক্তিদের সাথে কথা বলেন। এবং এই ঘটনার তাঁর মন্তব্য, ‘এটি একটি গণহত্যা গোটা বিষয় টি রাজ্য সরকার ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই ঘটনার তদন্তের জন্য প্রয়োজন হলে বিজেপি আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’